শিশুদের চোখের সমস্যা অনেক সময় অভিভাবক ও শিক্ষকদের অজান্তেই থেকে যায়। অথচ দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা শিশুর পড়াশোনা, খেলা এবং সার্বিক বিকাশে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের চোখের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণগুলো অভিভাবকেরা প্রায়ই উপেক্ষা করে যান, অথচ এগুলো সময়মতো ধরা পড়লে সহজেই চিকিৎসা সম্ভব।

শিশুদের চোখের সমস্যার সাধারণ লক্ষণ

১. মনোযোগের অভাবঃ স্পষ্ট দেখতে না পারার কারণে শিশু পড়াশোনা বা আঁকার মতো কাজে মনোযোগ দিতে পারে না।

২.  বই বা মোবাইল খুব কাছে ধরাঃ দূরের জিনিস পরিষ্কার দেখতে না পাওয়ার কারণে শিশুরা চোখের সামনে বই বা স্ক্রিন ধরে রেখে পড়ার চেষ্টা করে।

আরও পড়ুনঃ গোপনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতায় সাবান ব্যবহার করেন? সাবধান! অজান্তে কোন বড় বিপদ ডেকে আনছেন জানলে শিউরে উঠবেন

৩.  অতিরিক্ত চোখ ঘষাঃ চোখে চাপ বা ক্লান্তি থাকলে শিশু ঘন ঘন চোখ ঘষতে থাকে।

৪. চোখ বা মাথাব্যথাঃ দীর্ঘক্ষণ পড়া বা কাজ করার পর শিশুর চোখে ব্যথা হতে পারে।

৫. কুঁচকে তাকানোঃ কুঁচকে তাকানো ইঙ্গিত দিতে পারে যে আপনার সন্তানের প্রতিসরাঙ্ক ত্রুটি রযেছে। এটি এমন একটি অবস্থা যা চোখের ফোকাসকে ব্যাহত করে। শিশু কুঁচকে তাকিয়ে মুহূর্তের জন্য কোনও বস্তুর ফোকাস এবং স্পষ্টতা বাড়াতে সক্ষম হতে পারে।

৬. এক চোখ ঢেকে দেখা বা মাথা বাঁকানোঃ অনেক সময় ভালভাবে দেখতে না পারলে শিশু এক চোখ ঢেকে দেখতে চায়, যা আসলে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার লক্ষণ। 


কেন এই সমস্যা গুরুতর

ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৩৪ লাখ স্কুলপড়ুয়া শিশু দৃষ্টিশক্তি সমস্যায় ভোগে। নিকটদৃষ্টি অর্থাৎ মায়োপিয়া, দূরদৃষ্টি বা অ্যাস্টিগম্যাটিজমের মতো সমস্যা সময়মতো শনাক্ত না হলে শিশুদের শিক্ষাজীবন ও দৈনন্দিন কাজে বাধা আসতে পারে। 

করণীয়

*শিশুর নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।

*বাড়িতে শিশুর আচরণে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

*প্রয়োজনে চশমা বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুর দৃষ্টি সুরক্ষিত করা সম্ভব।

*শিশুদের বেশি সময় স্ক্রিনে ব্যয় না করে খোলা আকাশের নিচে খেলাধুলায় উৎসাহিত করা উচিত।