আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, একথা মোটামুটি সকলেরই জানা। শুকনো আমন্ডের পরিবর্তে অনেকে জলে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খোসা ছাড়িয়েও খান। সকালে খালি পেটে আমন্ড খাওয়ার নিয়ম মানেন স্বাস্থ্যসচেতনরা। কিন্তু বর্তমানে ভেজাল বাদামের বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে, পুরনো বাদামকে নতুন দেখানোর জন্য রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পালিশ করা হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়ায় আমন্ডে এক ধরনের লাল রঙের রঞ্জক ব্যবহার করা হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তবে কয়েকটি উপায়ে সহজেই ভেজাল বাদাম চিনতে পারবেন। রইল সেই টিপস- 

* রঙ পরীক্ষা: আসল আমন্ডের রং হালকা বাদামি হয়। তাই অস্বাভাবিক উজ্জ্বল বা লালচে রঙের আমন্ড দেখলে সতর্ক হন। কারণ রাসায়নিক দিয়ে পালিশ করলে আমন্ডের রং বদলাতে পারে। 

* গন্ধ পরীক্ষা: আমন্ড বাদামে একটি নির্দিষ্ট সুগন্ধ থাকে। যদি বাদামে রাসায়নিক বা তেলচিটে গন্ধ বেরোয়, সে ক্ষেত্রে বাদামের গুণগত মানও নষ্ট হতে পারে।

* স্বাদ পরীক্ষা: স্বাভাবিক আমন্ড বাদামের স্বাদ মৃদু মিষ্টি হয়। তিক্ত বা অস্বাভাবিক স্বাদযুক্ত বাদাম ভেজাল হতে পারে। যদি বাজার থেকে কেনা বাদামের স্বাদ তিতকুটে হয় কিংবা নেতিয়ে থাকে, তাহলে বুঝবেন সেগুলির মান ভাল নয়। 

* জলে দিয়ে পরীক্ষা: আমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখলে যদি জল লালচে বা অন্য কোনও রঙের হয়ে যায় তাহলে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে বাদামে রঞ্জক ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। একটি পাত্রে বেশ খানিকটা জল আমন্ড বাদাম ফেলে দিন। যদি বাদাম ডুবে যায় তাহলে বুঝবেন বাদাম ভাল মানের। আর নকল বাদাম হলে ভেসে থাকবে।

* ধরন পরীক্ষা: প্রাকৃতিক বাদাম সাধারণত মসৃণ ও সমান হয়। অতিরিক্ত চকচকে বা অমসৃণ পৃষ্ঠবিশিষ্ট বাদাম ভেজাল হতে পারে।