আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মকালে নিত্যদিনের সঙ্গী এয়ার কন্ডিশনার। গনগনে গরমের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র সহায় এই একটাই যন্ত্র।কিন্তু এসিতে থাকলে অনেকেরই মাথাব্যথা, গলাব্যথা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা শুরু হয়। আসলে অনেক সময়ে এসির তাপমাত্রা খুব কম থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা বাতাসে থাকার ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয় এবং নাক বন্ধ, কাশি, ত্বকের শুষ্কতা, মাথাব্যথা হতে দেখা যায়। আপনিও কি এই সমস্যায় ভোগেন? তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।   

১. এসির তাপমাত্রা ঠিক রাখুনঃ এসির তাপমাত্রা খুব কম হলে তা প্রথমেই স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ২৪-২৬ ডিগ্রির মধ্যে এসির তাপমাত্রা রাখা উচিত। এতে বেশ অনেকক্ষণ থাকলেও অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।  
২. সরাসরি বাতাস এড়িয়ে চলুন: যদি এয়ার কন্ডিশনারের বাতাস সরাসরি আপনার গায়ে লাগে, তাহলে মাথাব্যথা এবং ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। সবসময়ে এসির বাতাসের প্রবাহ উপরের দিকে বা পাশে রাখার চেষ্টা করুন। এতে আর শরীরে কোনও সমস্যা হবে না। 
৩. এসি সার্ভিসিং করাতে ভুলবেন না: যদি এয়ার কন্ডিশনারের ফিল্টার নোংরা হয়, তাহলে ব্যাকটেরিয়া এতে বাসা বাঁধতে পারে। যা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই প্রতি ৫-৬ মাস অন্তর এসির সার্ভিসিং করান। এতে ধুলো-ময়লা থেকে সংক্রমণের মতো সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। 
৪. মাঝে মাঝে ঘর খুলুনঃ এসি চালানোর সময়ে আমরা ঘর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিই। যার ফলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই প্রতি ১-২ ঘন্টা অন্তর ৫ মিনিটের জন্য জানালা বা দরজা খুলুন। এতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা এড়াতে পারবেন। 
৫. পর্যাপ্ত জল খানঃ এসির বাতাস ত্বক এবং শরীর থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয়। তাই সারাদিন প্রচুর জল পান করা জরুরি। সম্ভব হলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এটি শরীরে জলশূন্যতা রোধ করে এবং অনেক সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়াও রাতে এসি চালানোর সময় একটি টাইমার সেট করতে পারেন। এতে ঘর খুব বেশি ঠান্ডা হবে না।