আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অফিসে কোন দিন কোন মিটিং, বাড়িতে ফেরার সময়ে জরুরি কোন কোন জিনিস নিয়ে যেতে হবে কিংবা প্রিয়জনকে দেওয়া কথা— আজকাল কি কিছুই মনে থাকে না? এদিকে মনের ভুলের কারণে ক্ষতি হচ্ছে কাজের, বাড়ছে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাও। আগে ষাটের দোরগোড়ায় পৌঁছলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যেত। কিন্তু এখন অল্প বয়সিরাও এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। আর মস্তিষ্ককে সচল রাখতে শুধু ব্রেন গেমস এবং পর্যাপ্ত ঘুমই নয়, প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাসও। বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কেরকোষ গুলিকে রক্ষা করে, স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখে এবং মনোযোগ বাড়ায়।

  • সবুজ শাকসবজিঃ মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী  সবুজ শাক সবজি। এগুলিতে ফোলেট এবং ভিটামিন কে রয়েছে, যা মস্তিষ্কের নমনীয়তা এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • বেরিঃ ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য বেরিতে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। নিয়মিত বেরি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • বাদাম ও বীজঃ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত খান ড্রাই ফ্রুটস এবং সিডস। আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ খেতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
  • রঙিন শাকসবজিঃ গাজর, মিষ্টি আলু ও অন্যান্য কমলা সবজিতে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফুলকপি এবং ব্রোকলির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে গ্লুকোসিনোলেট উপাদান থাকায় মানসিক তীক্ষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিলে শরীরে এই সব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুব ভালভাবে শোষিত হয়।
  • আঙুরঃ আঙুর বিশেষত কালো আঙুরে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রেসভেরাটল থাকে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখার সঙ্গেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। 
  • মস্তিষ্কের অন্যান্য খাবারঃ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যেমন ডার্ক চকোলেটে রয়েছে মস্তিষ্ক-বান্ধব ফ্ল্যাভোনয়েড।  অন্যদিকে, পেঁয়াজে কোয়ারসেটিন থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। টমেটোতে লাইকোপিন থাকে, যা বুদ্ধি বাড়াতে সহায়ক।