আজকাল ওয়েবডেস্ক: কবাবের নবাব গলৌটি! এই গলৌটি শব্দের অর্থই হল 'গলে যাওয়া'। লখনউয়ের নবাবদের রসুইঘর থেকে উঠে আসা এই পদটি তুলতুলে নরম আর মনমাতানো সুগন্ধের জন্য খাদ্যরসিকদের নয়নের মণি। লখনউ তো বটেই অনেকেই ভাবেন, এমন কবাবের স্বাদ পেতে বুঝি শহরের নামীদামী রেস্তোরাঁই একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই ধারণা এবার স্বচ্ছন্দ্যে বদলে ফেলতে পারেন। সামান্য কিছু উপকরণ আর সঠিক প্রণালী জানা থাকলে, এই ঐতিহাসিক পদটি আপনিও বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার রান্নাঘরে।
উপকরণ (৪ জনের জন্য)
* খাসির কিমা: ৫০০ গ্রাম (চর্বি ছাড়া, মিহি করে বাটা)
* কাঁচা পেঁপে বাটা: ১ টেবিল চামচ (কিমা নরম করার জন্য)
* পেঁয়াজ: ২টি (মাঝারি আকারের, সেদ্ধ করে মিহি পেস্ট করা)
* আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
* কাজুবাদাম বাটা: ১০-১২টি (গরম জলে ভিজিয়ে পেস্ট করা)
* খোয়া ক্ষীর: ২ টেবিল চামচ (গ্রেট করা)
* জল ঝরানো টক দই: ১ টেবিল চামচ
* বেসন: ১ চা চামচ (হালকা ভেজে নেওয়া)
* গরম মশলাগুঁড়ো: ১ চা চামচ (এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি)
* জয়ত্রি ও জায়ফলগুঁড়ো: এক চিমটি
* গোলমরিচ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
* কেওড়া জল: আধ চা চামচ
* গোলাপ জল: ১ চা চামচ
* নুন: স্বাদমতো
* ঘি: ভাজার জন্য পরিমাণ মতো
প্রণালী
ধাপ ১: ম্যারিনেশন
প্রথমে একটি পাত্রে খাসির কিমা, কাঁচা পেঁপে বাটা, নুন, আদা-রসুন বাটা এবং টক দই একসঙ্গে খুব ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা ম্যারিনেট করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। এর ফলে কিমা নরম তুলতুলে হবে।
ধাপ ২: মশলা প্রস্তুতি
ম্যারিনেট করা কিমার সঙ্গে সেদ্ধ পেঁয়াজের পেস্ট, কাজুবাদাম বাটা, খোয়া ক্ষীর, ভাজা বেসন, গরম মশলা, জয়ত্রি-জায়ফল গুঁড়ো, গোলমরিচ, গোলাপ জল এবং কেওড়া জল দিয়ে দিন। সমস্ত উপকরণ হাত দিয়ে প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে আটা বা ময়দা মাখার মতো করে খুব ভালভাবে মাখুন। মিশ্রণটি নরম ও আঠালো হয়ে এলে বুঝবেন সেটি তৈরি।
ধাপ ৩: কবাব তৈরি ও ভাজা
হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে মিশ্রণ থেকে অল্প পরিমাণে কিমা নিয়ে গোল করুন এবং তারপর হাতের তালুর সাহায্যে চ্যাপ্টা করে টিকিয়ার আকার দিন। একটি নন-স্টিক প্যানে মাঝারি আঁচে ঘি গরম করুন। এরপর আঁচ কমিয়ে সাবধানে টিকিয়াগুলো প্যানে ছাড়ুন। দুই পিঠ সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত সময় নিয়ে ভাজুন। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করলে কবাবের ভেতরটা কাঁচা থেকে যাবে এবং নরম ভাব নষ্ট হবে।
ভাজা হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন এই ঐতিহ্যবাহী পদ।
