আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুমো রেসলার বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দৈত্যাকার চেহারার জাপানি খেলোয়াড়দের ছবি। অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের জন্য বা স্থূল চেহারার জন্য তাঁদের নিয়ে বিদ্রুপও করেন। কিন্তু যাঁরা এই ক্রীড়া সম্পর্কে অল্পবিস্তর আগ্রহী, তাঁদের অনেকেই জানেন বিষয়টি আদৌ বিদ্রুপ করার মতো নয়। আপাত দৃষ্টিতে যে খেলোয়াড়দের স্থূলকায় মনে হয়, তাঁদের দেহের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

অত্যন্ত অল্পবয়স থেকে তাঁদের কুস্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কী খাবেন এবং কী খাবেন না তার ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেওয়া হয়। মারাত্মক নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে তাঁদের শরীর তৈরি হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মধ্যে ফ্যাট বা মেদ জমে। কিন্তু দিনভর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে তৈরি হওয়ায় সুমোদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। তাঁদের চর্বি থাকে মূলত পেশির বাইরের অংশে। আর সেই চর্বির নিচে থাকে মারাত্মক শক্তিশালী পেশি।

গোটা বিষয়টি আবার বিশ্ববাসীর নজরে এসেছে এক খ্যাতনামা সুমো কুস্তিগীরের অবিশ্বাস্য দৈহিক পরিবর্তনের পর। সুমো দুনিয়ায় পরিচিত নাম তাকাকিশো। এক দশকেরও বেশি সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে কুস্তি করার পর গত বছরই অবসর নেন তিনি। অবসরের আগে তাঁর সরকারি ওজন ছিল ১৮৩ কিলো। কিন্তু অবসরের মাত্র নয় মাসের মধ্যে প্রায় ৭০ কিলো ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন এই ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির কুস্তিগীর। বর্তমানে তাঁর ওজন ১১৩ কিলোগ্রাম।

কী করে এই অসাধ্য সাধন করলেন কুস্তিগীর? সংবাদমাধ্যমে তাকাকিশো জানিয়েছেন সুমো কুস্তিগীরদের বিশাল চেহারার নেপথ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খাবার। খেলোয়াড় জীবনে তিনি দৈনিক প্রায় ১০ হাজার ক্যালোরির খাবার খেতেন। যেখানে একজন সাধারণ মানুষ দৈনিক প্রায় ১৬০০ থেকে ৩০০০ ক্যালোরির খাবার খান। অবসরের পর চিকিৎসক জানান যে অতিরিক্ত ওজনের ফলে তাঁর অস্থিসন্ধিতে প্রবল চাপ পড়ছে। তাই ওজন কমাতে হবেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাবারে লাগাম টানেন তিনি, চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট মেনে চলতে শুরু করেন। পাশাপাশি শরীরচর্চা বজায় রাখেন। আর স্রেফ এই দুইটি কাজ নিয়মিত করার ফলেই নয় মাসে বিপুল পরিমাণ ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।