আজকাল ওয়েবডেস্ক: মৃত্যুর পর কী কী হয়? যা নিয়ে কমবেশি সকলের কৌতূহল রয়েছে। স্বর্গ না নড়ক, মৃত্যুর পর কোথায় ঠাঁই হবে, তা নিয়েও আগ্রহ কম নয়। এক একজনের মত এক একরকমের। মৃত্যুর পর কী কী হতে পারে, কয়েকবছর আগে সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এক বৃদ্ধা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। ৬৮ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার নাম শার্লট হোমস। বৃদ্ধা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে জীবনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি। ১১ মিনিটের জন্য প্রাণ ছিল না তাঁর। ক্লিনিক্যালি 'মৃত' ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকরাও জানিয়েছিলেন, শার্লট মারা গেছেন। ১১ মিনিট পর তিনি আবারও প্রাণ ফিরে পান!
শার্লট জানিয়েছেন, সেই বছর আচমকা তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। চিকিৎসকরাও ঘোষণা করেন, শার্লট প্রাণ হারিয়েছেন। জানা গেছে, ১১ মিনিট 'মৃত' থাকার পর আবারও জ্ঞান ফেরে শার্লটের।
১১ মিনিট 'মৃত' থাকার সময়, কী কী অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাও নিজের স্বামীকে জানিয়েছিলেন শার্লট। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খোলেন। শার্লট জানিয়েছেন, ১১ মিনিট 'মৃত' থাকাকালীন ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। দেখা পেয়েছিলেন মৃত বাবা, মা, প্রিয়জনদের। স্বর্গ ও নড়ক, দুইয়ের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। তবে এটি কোনও স্বপ্ন ছিল না বলেই মত তাঁর।
শার্লট জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে স্বর্গেই গিয়েছিলেন। সেখানে ঈশ্বরের দেখা পান। স্বর্গে চারিদিকে সবুজ ঘাস, গাছ ছিল। মধুর সুর শুনতে পেয়েছিলেন। সেখানেই দেখা হয় বাবা ও হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের সঙ্গে। সকলের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। স্বর্গের পর নড়কেও পা রেখেছিলেন। স্বর্গের অভিজ্ঞতা যতটা মধুর, নড়কের অভিজ্ঞতা ততটাই খারাপ। নড়কের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব বেশি কথাও বলেননি তিনি।
শার্লট জানিয়েছেন, নড়কে পৌঁছেই দেখেছিলাম সকলে যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন। অদ্ভুত বাজে গন্ধ চারিদিকে। সেখানে বেশিক্ষণ থাকতেও পারেননি। এই ১১ মিনিট স্বর্গ ও নড়ক ঘুরেই জ্ঞান ফিরে আসে শার্লটের। জ্ঞান ফিরেই দেখেন, তিনি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বামী, চিকিৎসক ও নার্সরা।
দুই সপ্তাহ আরও চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এখন। শার্লটের এহেন দাবিতে সমাজমাধ্যমেও শোরগোল শুরু হয়। অনেকেরই দাবি, মৃত্যু নয়, বৃদ্ধা অসুস্থ অবস্থায় স্বপ্ন দেখছিলেন।
