আজকাল ওয়েবডেস্কঃ লিভারে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের অসুখ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। আর এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি। 
 
 একথা ঠিক যে লিভারের ক্ষতি এড়াতে চাইলে মদ্যপান না করাই শ্রেয়। সঙ্গে রোজকার কয়েকটি চেনা পানীয়ও লিভারের বারোটা বাজাতে পারে।
১. চিনি মেশানো পানীয়ঃ প্যাকেটজাত ফলের রস কিংবা বাজার চলতি আরও অনেক পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে। যা ‘হেলদি’ বলা হলেও স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। চিনি বিপাক হয়ে লিভারে ফ্যাট জমা করে। দীর্ঘদিন এই পানীয় খেলে লিভারের বারোটা বাজতেই পারে।
২. এনার্জি ড্রিঙ্কঃ ক্লান্তি কাটানোর জন্য অনেকেই এনার্জি ড্রিংস খান। এই ধরনের পানীয়তেও অতিরিক্ত মিষ্টি থাকে। খুব সহজেই এনার্জি বাড়িয়ে বাড়িয়ে দিলেও বেশি মাত্রায় এই পানীয় খেলে লিভারের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. কোল্ড ড্রিঙ্কঃ বর্তমানে কোল্ড ড্রিংঙ্ক যেন রোজের সঙ্গী। কমবয়সিদের মধ্যে এই পানীয় খাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই ধরনের সোডাযুক্ত নরম পানীয় লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এতে চিনির সঙ্গে মেশানো থাকে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম উপাদান। যা ফ্যাট হিসেবে লিভারে গিয়ে জমা হয়। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের পিছনে অনেকাংশে দায়ী কোল্ড ড্রিঙ্ক।
৪. কফি- ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই ঘন ঘন চা, কফিতে চুমুক দেন। এতে শরীর চাঙ্গা তো হয় না, উল্টে শরীরের বারোটা বাজে। বিশেষ করে কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে। যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে লিভারের উপর প্রভাব ফেলে।
৫. ফ্যাটযুক্ত দুধঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে লিভারের উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। সাধারণত কম ফ্যাটযুক্ত দুধ বা স্কিমড মিল্ক ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য বেশি উপযুক্ত। কারণ এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার লিভারে আরও বেশি ফ্যাট জমা করতে পারে, যা ফলে শরীরে ফ্যাটি লিভার বাসা বাঁধতে পারে।
