আজকাল ওয়েবডেস্ক: গরমকালে ঘামাচি এবং ‘সামার র‍্যাশ’- এর সমস্যা দেখা যায় ঘরে ঘরে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ঘামাচির সমস্যা অনেকটাই বেশি। রোদে খেলাধুলো করলে কিংবা নখ দিয়ে চুলকালে আরও বেড়ে যায় সমস্যা। ঘামাচির বিড়ম্বনা কমাতে গাদা গাদা ওষুধ না খেয়ে অবলম্বন করুন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের টোটকাতেই নির্মূল হয়ে আসছে ঘামাচি।


১.  মুলতানি মাটির প্রলেপ: মুলতানি মাটি ঠান্ডা করার জন্য এবং ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল ও ঘাম শোষণ করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। পরিমাণ মতো মুলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপ জল বা সাধারণ ঠান্ডা জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচি বা র‍্যাশের জায়গায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জ্বালা আর ঘামাচি দু’ইই কমবে।

২.  অ্যালোভেরার শাঁস: অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের চুলকানি, লাল ভাব এবং জ্বালা কমাতে খুব কার্যকর। তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিন। এই জেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার লাগান। এটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং দ্রুত আরাম দেয়।

৩.  ঠান্ডা জলে স্নান বা ভেজা কাপড়: ঘামাচি বা র‍্যাশ কমাতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ত্বক ঠান্ডা রাখা। দিনে ২-৩ বার ঠান্ডা জলে স্নান করুন। সাবান ব্যবহার করলে হালকা এবং নন-কমেডোজেনিক সাবান ব্যবহার করুন। এই ধরনের সাবান ত্বকের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলি বন্ধ করে না। স্নানের পর নরম তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে গা মুছুন, ঘষবেন না। যদি স্নান করা সম্ভব না হয়, একটি পরিষ্কার নরম কাপড় ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে র‍্যাশের জায়গায় কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখুন (কোল্ড কম্প্রেস)।

৪.  নিম পাতার  পেস্ট বা জল দিয়ে স্নান: বাংলার আদি অকৃত্রিম নিমের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে। এক মুঠো তাজা নিম পাতা জলে ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে সেই জল দিয়ে স্নান করুন অথবা তুলো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এছাড়া, নিম পাতা বেটে সরাসরি ঘামাচির ওপর লাগালেও উপকার পাওয়া যায়।

৫.  শসার রস: শসা ত্বককে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। শসা পাতলা করে কেটে স্লাইসগুলো র‍্যাশের ওপর ১০-১৫ মিনিট রাখতে পারেন। অথবা শসা ব্লেন্ড করে তার রস বের করে তুলো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের জ্বালাভাব এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।