আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিন্দু ধর্মমতে, শিবরাত্রি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের মহাশিবরাত্রি দেশজুড়ে ধুমধাম সহকারে পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালিত হয়। কথিত রয়েছে, এদিন ভক্তি মনে পুজো করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। সঙ্গে একাধিক বিরল যোগ তৈরি হওয়ায় এবারের শিবরাত্রি বিশেষ বলে মনে করা হচ্ছে।।
শিবরাত্রিতে চার প্রহরের পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শিবরাত্রিতে অনেকেই নির্জলা উপবাস রেখে চার প্রহরের পুজো করেন। চার প্রহরে শিবের মাথায় জল ঢেলে তবেই খাবার খান। শিবরাত্রিতে যেহেতু মাঝরাত পর্যন্ত পুজোর নিয়ম রয়েছে, তাই দীর্ঘক্ষণ উপোস করায় শরীরের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে ফিট থাকবেন, জেনে নিন-
১. উপোস করার সময়ে শরীর ডিহাইড্রেট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। । ডিহাইড্রেশন হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, আচমকা মাথা ঘুরতে পারে। যদি নির্জলা উপোস না করেন তাহলে বার বার জল খান। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে আর খিদেও কম পাবে। জল ছাড়াও দুধ, ঘোল, ডাবের জল কিংবা আখের রস খেতে পারেন।
২. উপোস করলে রক্ত চাপ কমে যাওয়া, সুগার কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস, নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে বাড়তি সতর্ক থাকুন।
৩. উপোস ভাঙার সময়ে ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়। আসলে সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ বাদে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তিবোধ হবে। বদলে হালকা খাবার খান।
৪. উপোস ভাঙার সময় আমন্ড, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ, খেজুর, আখরোট জাতীয় শুকনো ফল খেলে শরীর দ্রুত এনার্জি ফিরে পাবে। বিশেষত, এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে প্রাকৃতিকভাবে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
৫. ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও উপোস থাকাকালীন এই অভ্যাস বাদ দিন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
