আজকাল ওয়েবডেস্কঃ গ্রীষ্মকালে নিত্যদিনের সঙ্গী এয়ার কন্ডিশনার। গনগনে গরমের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র সহায় এই একটাই যন্ত্র। তবে শুধু ব্যবহার করলেই তো হল না, এসির সঙ্গে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সঙ্গে যন্ত্রটি ব্যবহারের সময়ে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। নচেৎ গরমের স্বস্তি ডেকে আনতে পারে চরম বিপদ!
*নিয়মিত সার্ভিসিংঃ এসি যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার জন্য নিয়মিত সার্ভিসিং করতে ভুললে চলবে না। নয়তো এসির মধ্যে ধুলোবালি জমে তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এসির মধ্যে এয়ার ফিল্টার থাকলেও তা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত কাজ করতে পারে। তাই নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসি সার্ভিসিং করানো দরকার।
*একটানা ব্যবহারঃ অনেকেই ১৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে একটানা এসি চালানোর ভুল করে থাকেন। যা এসি বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ব্যবহারের পরে ইউনিটটি বন্ধ করে এক বা দুই ঘন্টা বিরতি দেওয়া শ্রেয়।
*ফিল্টার পরিষ্কার: এসি-তে লাগানো ফিল্টার হাওয়া থেকে ধুলো-ময়লা দূর করে। ফিল্টারে নোংরা জমলে এসি থেকে ঠান্ডা হাওয়া বেরতে চায় না। ফিল্টারটি বায়ুপ্রবাহ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যদি এটি নোংরা হয়, তাহলে কম্প্রেসারের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে প্রতি ৪ থেকে ৫ সপ্তাহে এসি ফিল্টার পরিষ্কার করার দিকে লক্ষ্য রাখুন।
*আউটডোর ইউনিট পরিষ্কার: স্প্লিট এসির আউটডোর ইউনিটের ফ্যান ও ইউনিটে নোংরা জমে। যা পরিষ্কার না করলে এসির কুলিং সিস্টেম ঠিক মতো কাজ করে না।
*গ্যাস লিকেজ পরীক্ষাঃ এসিতে গ্যাস লিকেজ গুরুতর বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন গ্যাস গরম কম্প্রেসারের সংস্পর্শে আসে। আপনি যদি গ্রীষ্মকালে ঘন ঘন এসি ব্যবহার করেন, তাহলে গ্যাস লিকেজ হওয়ার কোনও লক্ষণ রয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
*স্টেবিলাইজার ব্যবহার: যদি আপনার এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ ওঠানামা হয়, তাহলে এসি মেশিনের ক্ষতি আটকাতে স্টেবিলাইজার ব্যবহার করাই শ্রেয়। এতে মেশিন অনেকদিন ভাল থাকবে।
*সঠিক তাপমাত্রা সেটঃ এসির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে মেশিনটি ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চালানোর চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দিলে আপনার বিদ্যুৎ খরচই কেবল বাড়বে।
