আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বর্ষাকালে আকাশের মুখ ভার, রোদের তেমন জোর নেই। কখনও টিপটিপ, আবার কখনও ঝেপে নামছে মুষলধারে বৃষ্টি।! বর্ষা মানেই কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায় শুধু রোম্যান্টিকতা নয়, এই সময়ে যে প্রকট হয় হাজার একটা ঝামেলা। টানা বৃষ্টিতে বড় সমস্যা ভিজে জামাকাপড় শুকানো। বৃষ্টির জন্য ছাদে এমনকী বারান্দাতেও জামাকাপড় শুকানো যায় না। বাধ্য হয়ে অনেক সময় ঘরের মধ্যেই দড়ি টাঙিয়ে কাপড় শুকাতে হয়। ফলে কাপড়ে ছত্রাক ও জীবাণু-ঘটিত দুর্গন্ধ তৈরি হয়। জল শুকিয়ে গেলেও স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। তাহলে উপায়? রইল সেই টিপস। 

পোশাকে যাতে জীবাণু ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে না পারে, তার জন্য নজর দিন কাচার পদ্ধতির উপর। কাপড়ের কোনও অংশে কাদা লেগে থাকলে আগে সেই অংশটি আগে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচার পর কোনও জীবাণু-নাশক লোশন মেশানো জলে কাপড় ধুয়ে নিতে পারেন।

যে ঘরে কাপড় শুকাবেন, তার জানলা দরজা খোলা রাখুন। অন্তত ওই ঘরে যে রোদ ঢুকবে তা কাপড়ের স্যাঁসস্যাঁত গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। জামাকাপড় শুকানোর পর ইস্তিরি করে নিন। এতে শুধু কাপড় ভাল থাকবে না, জীবাণুমুক্তও হবে।

অনেকেই ধোয়ার জন্য সব ময়লা জামাকাপড় এক জায়গায় জমা করে রাখেন। তেমনটা বর্ষাকালে করলে কিন্তু কাপড়ে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ বেরোতে পারে। তাই অল্প অল্প করে সব জামাকাপড় কেচে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি তা সম্ভব না হয়,  তাহলে এক জায়গায় ফেলে না রেখে দড়িতে টাঙিয়ে রাখতে পারেন। 

ভিজে চুপচুপে হয়ে বাড়িতে এলে প্রথমেই পোশাক ধুয়ে ফেলুন। জামাকাপড়ের গন্ধ দূর করতে লেবু খুব কার্যকর। ডিটারজেন্ট পাউডারের মধ্যে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে কাচতে পারেন। এতে সোঁদা গন্ধ দূর হবে। 

আলমারিতে এক টানা অনেক দিন কাপড় রেখে দিলে ছত্রাক পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মাঝে মাঝে আলমারি থেকে কাপড় বের করে নাড়া-চাড়া করুন। কিছুক্ষণ আলমারির দরজা খুলে রাখতে পারেন। এছাড়া আলমারি, ওয়ার্ড্রোব, আলনার তাকে ন্যাপথলিন রাখুন।