কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেই ইতিবাচক পরিবেশ চায়। একে অপরের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যাশা থাকে সকলের। কিন্তু বাস্তব অনেক সময় ভিন্ন হয়। অফিসে সহকর্মীদের ঈর্ষা, পিছনে সমালোচনা বা 'আক্রমণাত্বক' আচরণ কর্মক্ষেত্রকে অস্বস্তিকর করে তুলতে পারে। এতে শুধু কাজের মানই নষ্ট হয় না, মানসিক চাপও বেড়ে যায়। তবে কয়েকটি কৌশল জানা থাকলে সহজেই এমন পরিস্থিতি সামলিয়ে কাজে মনঃসংযোগ করতে পারবেন। 

১. পেশাদার ও শান্ত থাকুনঃ ঈর্ষান্বিত সহকর্মীরা ইচ্ছে করে প্ররোচনা দিতে পারে। তবে আবেগে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে শান্ত থাকুন। নিজের কাজ ও ব্যবহারে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন। প্রয়োজনে ঘটনাগুলো লিখে রাখুন, যাতে পরে প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায়।

আরও পড়ুনঃ ‘প্রোটিনের খনি’ ডিম! কী ভাবে খেলে শরীর পাবে সর্বোচ্চ পুষ্টি, সঠিক কায়দা জানলেই আসল লাভ

২. ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখুনঃ অফিসে সবাই বন্ধু নাও হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন। বেতন, প্রমোশন বা পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে। কথোপকথনকে যতটা সম্ভব কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।

৩. কাজে মনোযোগী হোনঃ ঈর্ষান্বিত সহকর্মীরা অনেক সময় আপনার মনোযোগ ভাঙতে চায়। কিন্তু নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করা এবং সময়মতো দায়িত্ব শেষ করাই আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে নিয়মিত ভাল পারফরম্যান্সই হবে আপনার সবচেয়ে বড় উত্তর।

৪. ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করুনঃ বিশ্বাসযোগ্য ও সহায়ক সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। একজন মেন্টর বা সিনিয়রের পরামর্শ নিন। ইতিবাচক নেটওয়ার্ক আপনাকে শুধু মানসিকভাবে শক্ত রাখবে না, অফিসে আপনার অবস্থানও দৃঢ় করবে।

৫. প্রয়োজনে উচ্চপদস্থদের জানিয়ে দিনঃ যদি পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠে যেমন কাজ ব্যাহত হওয়া বা মানসিক হয়রানি হয়, তাহলে সংযতভাবে, প্রমাণ সহ বিষয়টি ম্যানেজার বা এইচআর বিভাগের কাছে তুলুন। এটি আপনাকে নিরাপদ রাখবে এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নেবে।

মনে রাখবেন, অফিসে এই ধরনের সহকর্মীদের এড়ানো কঠিন বটে, তবে শান্ত থাকা, সীমা নির্ধারণ, কাজের প্রতি মনোযোগ, ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব। এতে আপনি শুধু আত্মবিশ্বাসীই থাকবেন না, একইসঙ্গে কেরিয়ারেও এগিয়ে যাবেন।