শনিবার এই সব কাজ করলেই সর্বনাশ! নেমে আসবে চরম বিপদ, শনিকে তুষ্ট রাখতে কী করবেন?
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২ : ৪৭
শেয়ার করুন
1
10
হিন্দু ধর্মে শনিবারকে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন মনে করা হয়। এই দিনটি শনিদেবের জন্য নির্দিষ্ট। শনিদেব হলেন কর্মফলের দেবতা। ভাল কাজ করলে শনিদেব ভাল ফল দেন, আর খারাপ কাজ করলে শাস্তি দেন, এমনটাই হিন্দুধর্মে কথিত রয়েছে।
2
10
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শনির দশা যার চলে, তাঁর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে বলে মনে করা হয়। জন্মকুণ্ডলীতে শনিদেবের অবস্থান যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি শনিদেব প্রত্যক্ষ বা বিপরীতমুখী হলে জীবনে শুভ-অশুভ প্রভাব পড়ে। জীবনের দুর্ভোগ কাটাতে শনিবার বেশ কিছু কাজ করলে লাভ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
3
10
শনিবারে যে কাজগুলি করা শুভ বলে ধরা হয়, তার মধ্যে প্রথমেই আসে পিপল গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো। সন্ধের সময় পিপল গাছের তলায় সরষের তেল বা তিলের তেলে প্রদীপ জ্বালালে শনিদেব প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস করা হয়।
4
10
অনেকে শনিবার হনুমান মন্দিরে যান। হনুমান চালিসা বা সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে শনি দোষের প্রভাব কমে, এমন ধারণাও রয়েছে।
5
10
শনিবারে দান করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কালো তিল, কালো কাপড়, বিউলির ডাল, লোহা, জুতো বা সরষের তেল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। দরিদ্র, শ্রমজীবী মানুষ বা যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন, তাঁদের দান করলে শনিদেব খুশি হন বলে বিশ্বাস। এছাড়া এই দিনে কাউকে খাবার খাওয়ানো বা সাহায্য করাও ভাল কাজ।
6
10
এদিন শান্ত ও সংযমী আচরণ করা খুব জরুরি। মিথ্যে কথা বলা, কারও সঙ্গে ঝগড়া করা, কাউকে কষ্ট দেওয়া- এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।
7
10
শনি দেব ন্যায় ও ধৈর্য পছন্দ করেন। তাই শনিবারে ধৈর্য ধরে চললে জীবনে স্থিরতা আসে বলে অনেকের বিশ্বাস।
8
10
শনিবারে কিছু কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। এই দিনে লোহা কেনা অশুভ বলে ধরা হয়, যদিও লোহা দান করা শুভ। শনিবারে নতুন জুতো, কাঁচি, নুন বা সরষের তেল কেনা থেকেও বিরত থাকা ভাল। অনেকেই মনে করেন, এতে অর্থনৈতিক সমস্যা বা অশান্তি বাড়তে পারে। এছাড়া শনিবারে চুল কাটা বা নখ কাটা শুভ নয়। ভারী, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা শ্রেয়। মদ্যপান বা খারাপ অভ্যাস থেকেও দূরে থাকা উচিত।
9
10
শনিবারে শনি দেবের মন্ত্র জপ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। “ওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ”-এই মন্ত্রটি সহজ এবং বহু মানুষ নিয়মিত জপ করেন।
10
10
এই সব নিয়ম মেনে চললে জীবনের অনেক সমস্যাই ধীরে ধীরে কমতে পারে, এমনটাই ধর্মীয় বিশ্বাস। তবে যে কোনও নিয়মই নিজের মানসিক শান্তি ও বিশ্বাস অনুযায়ী পালন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।