সম্প্রতি বহু করদাতা আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে পাওয়া এসএমএস ও ইমেল বার্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে আয়কর বিভাগ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই বার্তাগুলি কোনও শাস্তিমূলক নোটিস নয়। বরং করদাতাদের নিজেদের আয়কর রিটার্ন খতিয়ে দেখার সুযোগ করে দিতেই এই যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে কোনও অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকলে তা যেন সংশোধন করা যায়।
2
9
আয়কর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই বার্তাগুলি নির্দিষ্ট কিছু আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে রয়েছে। ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য রিপোর্টিং সংস্থাগুলি আর্থিক বছরের মধ্যে এই তথ্য আয়কর দপ্তরের কাছে জমা দেয়। সেই তথ্যের সঙ্গে করদাতার জমা দেওয়া রিটার্নের তুলনা করেই এই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
3
9
এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, “এই ধরনের যোগাযোগের উদ্দেশ্য হল করদাতাদের সহায়তা করা এবং তাঁদের জানানো যে সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কী তথ্য আয়কর দপ্তরের কাছে রয়েছে।”
4
9
তারা আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রগুলিতেই এই পরামর্শমূলক বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে রিটার্নে ঘোষিত তথ্য এবং রিপোর্টিং সংস্থার দেওয়া তথ্যের মধ্যে স্পষ্ট ফারাক দেখা যাচ্ছে।
5
9
আয়কর দপ্তর জোর দিয়ে বলেছে, এই উদ্যোগ কোনও তাৎক্ষণিক তদন্ত বা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নয়। বরং স্বেচ্ছায় কর মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এই প্রচারের মূল লক্ষ্য।
6
9
এই বার্তাগুলির মাধ্যমে করদাতাদের নিজেদের অ্যানুয়াল ইনফরমেশন স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনও ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাহলে করদাতারা অনলাইনে আয়কর দপ্তরের কমপ্লায়েন্স পোর্টালের মাধ্যমে ফিডব্যাক দিতে পারেন। প্রয়োজন হলে আগেই জমা দেওয়া রিটার্ন সংশোধন করা কিংবা যাঁরা রিটার্ন জমা দেননি, তাঁরা নতুন করে রিটার্ন ফাইল করতে পারেন।
7
9
যদিও নিয়মিত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর, তবুও করদাতাদের জন্য এখনও সময় রয়েছে। বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জরিমানা বা আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
8
9
আয়কর বিভাগ আরও জানিয়েছে, যাঁদের রিটার্নে কোনও ভুল নেই, তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আয়কর বিভাগ বলেছে, “যদি কোনও অসঙ্গতি থাকে, তাহলে কমপ্লায়েন্স পোর্টালের মাধ্যমে দ্রুত উত্তর দিন। আর যদি সবকিছু সঠিক থাকে, তাহলে এই বার্তা উপেক্ষা করতে পারেন।”
9
9
কর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও একই। তাঁদের মতে, এই ধরনের বার্তা পেলে শান্তভাবে AIS ও জমা দেওয়া রিটার্ন মিলিয়ে দেখা উচিত এবং কেবলমাত্র প্রকৃত গরমিল থাকলেই প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।