'ধুরন্ধর' ছবিতে তাঁকেই দেখা গিয়েছে 'হামজা'র চরিত্রে। গল্পে দেখানো হয়েছে এই হামজা, যে আদতে ভারতীয় গুপ্তচর সে পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় থেকে সেখানকার খবর দেশে পাঠাত। এই চরিত্রে অভিনয় করে বর্তমানে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রণবীর সিং। কিন্তু জানেন কি পর্দায় পেশার খাতিরে পাকিস্তানে গিয়ে থাকার ঘটনা দেখালেও, আদতেই রণবীর সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। কীভাবে? জেনে নিন সেটাই। 

রণবীর সিংয়ের জন্ম একটি সিন্ধি পরিবারে। ১৯৮৫ সালে মুম্বইয়ে অঞ্জু সিং এবং জগজিৎ সিং ভবনানির ছেলে হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন রণবীর সিং ভবনানি, যাঁকে সকলে রণবীর সিং বলেই চিনি। রণবীরের দাদু সুন্দর সিং ভবনানি এবং ঠাকুমা চাঁদ বুরকে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের করাচি থেকে তৎকালীন বম্বেতে এসে থাকা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় তাঁরা পাকিস্তান ছেড়ে এই দেশে চলে আসেন। আর অদ্ভুতভাবে এই 'ধুরন্ধর' ছবিতে ফুটে উঠেছে করাচির শহরে লিয়ারির কথা। 

প্রসঙ্গত, পনের বছর আগে 'ব্যান্ড বাজা বারাত' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন রণবীর সিং। এরপর তাঁকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক কালজয়ী চরিত্র উপহার দিয়েছেন। তার মধ্যে নবীনতম সংযোজন 'ধুরন্ধর'ছবির 'হামজা'। 

এই বিষয়ে এও জানিয়ে রাখা ভাল, রণবীর যে সিন্ধি পরিবারের ছেলে সেটা একাধিকবার বিভিন্ন শো, সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। এমনকী একবার এক ভক্তের প্রশ্নে অভিনেতা জানিয়েছিলেন তাঁর পছন্দের খাবারও সিন্ধি কারি আর ভাত। সিন্ধি ভাষার প্রতিও অভিনেতার নিবিড় টান। ২০১৮ সালে তিনি যখন তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা দীপিকা পাড়ুকোনকে বিয়ে করেন ইতালিতে সেই সময় সিন্ধি মতেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। 

প্রসঙ্গত, 'ধুরন্ধর' গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে বক্স অফিসে দুর্দমনীয় গতিতে ছুটে চলেছে এই ছবি। আদিত্য ধর পরিচালিত ছবিটিতে হামজা আলি মাজারি ওরফে জ্যাসকৃত সিং রঙ্গি নামক এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অক্ষয় খান্না, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রামপাল, সারা অর্জুন, আর মাধবন, প্রমুখকে। ২০২৬ সালে এই ছবির পরবর্তী ভাগ, 'ধুরন্ধর ২' মুক্তি পাবে। 

এছাড়া রণবীরের হাতে রয়েছে 'ডন ৩'। ফারহান আখতার পরিচালিত এই ছবিতে তিনি শাহরুখ খানকে সরিয়ে নতুন ডন হিসেবে ধরা দেবেন।