আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। অনেক বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার রীতি রয়েছে। লক্ষ্মীপুজোয় প্রসাদের থালায় আর কিছু থাক বা না থাক, বিভিন্ন ধরনের নাড়ু, মোয়া তো থাকবেই! সঙ্গে নৈবেদ্যে সাজিয়ে দেওয়া হয় নানা মিষ্টির পদও। বেশিরভাগ বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো বিকেলের পর হয়। ফলে সারাদিন উপোস করার পর প্রসাদের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকে রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি রয়েছে তাঁদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আবার সারা দিন ধরে উপোস করে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শর্করার মাত্রা ঘন ঘন ওঠানামা করলে রোগীর প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিক রোগীদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। যেমন-
১. উপোস করলেও শরীরে জলের অভাব যেন না ঘটে। ফলের রস, ঘোল, শরবতের মতো তরল খান।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোয় ভোগের খিচুড়ির হবে সেরা স্বাদ, ঝটপট জেনে নিন 'সিক্রেট' টিপস
২. লক্ষ্মীপুজোয় নাড়ুর লোভ সামলানো যায় না ঠিকই, তবে ডায়াবেটিকরা সীমিত পরিমাণে খান। চিনির বদলে গুড়ের নারকেল, তিলের নাড়ু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. ভাজা মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। কারণ এই ধরনের মিষ্টি ব্লাড সুগারের মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠিক একইভাবে খাওয়া যাবে না রসের মিষ্টি। তার বদলে খেতে পারেন হালকা মিষ্টিযুক্ত সন্দেশ।

৪. ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতি বোধ থাকাটা খুবই জরুরি। অর্থাৎ দোকানের মিষ্টি খান বা বাড়ির, দিনে একটার বেশি খাওয়া চলবে না। লক্ষ্মীপুজোয় মিষ্টি খাওয়া হলে ওইদিন চা ও কফিতে চিনি ও দুধ মেশানো বন্ধ রাখুন। বদলে গ্রিন টি কিংবা ভেষজ চা খেতে পারেন।
৫. ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, সবজি ও গোটা শস্যদানা খান। তাতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং হজমের সমস্যাও হবে না।
৬. মিষ্টি খেলেও ঘাম ঝরিয়ে খানিকক্ষণ হেঁটে নিন। বিশেষ করে পরদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন না, তাঁরা ৪৫ মিনিট অবশ্যই হাঁটুন। এছাড়াও সময় মতো খান ওষুধ।
