আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ক্রমশ দেশে উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছচ্ছে কোলন ক্যানসার। অল্প বয়সিদের মধ্যেও বেড়ে চলেছে মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ক্যানসারের কারণে হওয়া মৃত্যুর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণটি হল কোলন ক্যানসার। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়, প্রথম দিকে এই অসুখের কোনও লক্ষণ সেভাবে বোঝা যায় না। আসলে অর্শ এবং কোলন ক্যানসারের লক্ষণগুলো অনেকটা এক ধরনের। তাই অনেকেই অর্শ ভেবে ভুল করেন। আর তাতেই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। সময় থাকতেই কোলন ক্যানসারের লক্ষণ বোঝা জরুরি। 

* মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তনঃ ক্রমাগত মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মল সংকুচিত হওয়া অনেক দিন ধরে হতে থাকলে তা কোলন ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। কোলন ক্যানসারের রোগীরা অনেক সময়ে মনে করেন যে মল সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করতে পারছেন না। কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় এই সমস্যা থাকলে তা বিপদের ঝুঁকি বাড়ায়।

* মলে রক্তঃ যদি আপনার লাল বা গাঢ় রঙের মল নির্গত হয়, তাহলে তা পরিপাকতন্ত্রে রক্তপাতের কারণে হতে পারে। এটি কোলন ক্যানসারের একটি সম্ভাব্য লক্ষণ। অর্শ বা অন্য কয়েকটি শারীরিক অবস্থার কারণে একই রকম লক্ষণ দেখা দেয়। তবে ক্রমাগত বা বারবার রক্ত ​​পড়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। 

* পেটে ব্যথা বা খিঁচুনিঃ পেটে ক্রমাগত অস্বস্তি, যেমন খিঁচুনি, ফোলাভাব বা ব্যথা, কোলনকে বাধা দিচ্ছে এমন একটি টিউমারের ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ব্যথা থাকলে বিশেষ করে সময়ের সঙ্গে ব্যথা বাড়তে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেকেই এই লক্ষণটিকে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বলে ভুল করেন। 

* আচমকা ওজন কমে যাওয়াঃ একইরকম খাদ্যাভাস রেখেও আচমকা ওজন কমে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। আসলে ক্যানসারের কোষগুলো বিপাক প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামে কোনও পরিবর্তন না করেও ওজন কমে যায়। তাই এই লক্ষণটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। 

* অতিরিক্ত ক্লান্তিঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও যদি দুর্বলতা, ক্লান্তিভাব না কাটে তাহলে তা কোলন ক্যানসারের বিপদ সংকেত হতে পারে। টিউমার থেকে আভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে, যার ফলে রক্তাল্পতা হওয়ায় শরীরে ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই এই লক্ষণ দেখলে অবহেলা করা উচিত নয়।