চিয়া বীজ এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি সুপারফুড। অনেকের কাছে রোগা হওয়ার জাদুকাঠি চিয়া সিড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বীজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অগুনতি উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও শরীরে বেশ কয়েকটি সমস্যা থাকলে চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়। তাহলে কাদের বেশি পরিমাণে চিয়া বীজ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, জেনে নিন-
১. অ্যালার্জি আক্রান্তরা: যাদের তিল বা সরষের বীজে অ্যালার্জি আছে, তাঁদের চিয়া বীজেও অ্যালার্জি হতে পারে। চামড়া ফোলা, খুসখুস বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. গলা বা খাদ্যনালীর সমস্যা: চিয়া বীজ জল শোষণ করে ফুলে যায়। তাই গলায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে যাদের খাওয়ার সময়ে গলায় আটকে যাওয়ার প্রবণতা থাকে তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক। সেক্ষেত্রে ভিজিয়ে বা জলে নেড়ে খেলে সমস্যা কমে।
আরও পড়ুনঃ ‘স্বাস্থ্যকর’ হলেও কিডনির চরম শত্রু! নিয়মিত এই সব খাবার খেলেই বাড়তে পারে কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি
৩. কিডনি রোগী বা কিডনি স্টোনের ঝুঁকি থাকলেঃ চিয়া বীজে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেশি। কিডনির সমস্যা থাকলে এটি আরও ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া এই বীজে থাকা অক্সালেট কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৪. রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ খেলে: চিয়া বীজ রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা কমায়। ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, ফলে ব্লাড প্রেশার বা সুগার আরও কমিয়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে।

৫. পেটের সমস্যা থাকলেঃ চিয়া বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে। অতিরিক্ত খেলে পেট ফোলা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে খাওয়া এবং পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ মাত্র ১-২ চা চামচ চিয়া বীজ খাওয়া নিরাপদ। এই বীজ খাওয়ার আগে জলে বা দুধে ভিজিয়ে নিন। বেশি ফাইবার খেলে পর্যাপ্ত জল পান করতে ভুলবেন না। অস্বস্তি বা অ্যালার্জি দেখা দিলে চিয়া বীজ খাওয়া বন্ধ রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিয়া বীজ স্বাস্থ্যকর হলেও সঠিক পরিমাণ ও ব্যবহারের নিয়ম মেনে খাওয়া জরুরি।
