আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি হলেন কর্মফলের দেবতা। সেই কারণেই শনির দশা যার চলে, তাঁর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে বলে মনে করা হয়। জন্মকুণ্ডলীতে শনিদেবের অবস্থান যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি শনিদেব প্রত্যক্ষ বা বিপরীতমুখী হলে জীবনে শুভ-অশুভ প্রভাব পড়ে। শনিবার হল শনির দিন। তাই কথিত রয়েছে, এই দিনে বেশ কিছু কাজ করলে শনির দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষত শনিবার শনিদেবের উদ্দেশ্যে পুজো করলে বিশেষভাবে প্রীত হন তিনি। সঙ্গে জীবনে দুর্ভোগ কাটাতে এই দিনে বেশ কিছু কাজ করলে লাভ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, জুতোর সঙ্গে রয়েছে শনি গ্রহের সম্পর্ক৷ তাই কথিত রয়েছে, শনিবার মন্দিরে জুতো ছেড়ে আর পিছনের দিকে না তাকালে শনির দশা কাটে। মন্দিরে জুতো দান করলে গ্রহরাজ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। দূর হয় দুঃখ-দুর্দাশা।
জীবনে শনির দশা কাটাতে ক্ষমতা অনুযায়ী মন্দিরে কিছু মিষ্টি প্রসাদ দান করতে পারেন। এতেও লাভ হতে পারে।
শনির খারাপ প্রভাব কাটাতে নিজের বাড়িতে শামী গাছ রোপণ করে প্রতিদিন এই গাছের পুজো করতে পারেন।
শাস্ত্র মতে, শনিবার মিথ্যে কথা বললে শনিদেব রুষ্ট হন। তাই এই দিন কোনও খারাপ কাজ করা বা খারাপ কথা বলা থেকে দূরে থাকুন।
অশ্বথ গাছের গোড়ায় এদিন জল ঢালতে পারেন এবং সন্ধ্যায় একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে আসুন। এতেই কাটতে পারে শনির দশা।
একটা বাটিতে কিছুটা সর্ষের তেল নিয়ে নিজের মুখের প্রতিবিম্ব দেখুন। তারপর এই তেলটা দান করে দিলেও শনিবার দশা কেটে যেতে পারে।
