আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধু একাধারে খাদ্য, ওষুধ, আবার রূপচর্চার অবিচ্ছেদ্য উপকরণও বটে। প্রাচীন কাল থেকেই মধুর গুণাগুণ নিয়ে বিস্তর চর্চা। কাশি কমানো থেকে রূপের যত্ন—সবেতেই মধু কার্যকর। কিন্তু আজকাল বাজারে মধুর নামে কী বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ক্রেতাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোতলবন্দি মধুতে চিনি, গ্লুকোজ, মল্টোজ বা কৃত্রিম রঙ মিশিয়ে তা আরও মিষ্টি ও ঘন করে তোলা হয়। ফলে খাঁটি মধু চিনে নেওয়া খুবই জরুরি। বাড়িতে বসেই কয়েকটি সহজ পরীক্ষায় বোঝা যায় আপনার কেনা মধু আসল না নকল। রইল এমনই পাঁচটি ঘরোয়া উপায়—
১. জলের গ্লাসে পরীক্ষা
একটি স্বচ্ছ গ্লাসে জল নিন। তাতে এক চামচ মধু ফেলে দিন। যদি মধু নিচে গিয়ে ধীরে ধীরে বসে যায় এবং জলে তৎক্ষণাৎ না মেশে, তবে সেটি খাঁটি। ভেজাল মধু সঙ্গে সঙ্গে জলে মিশে যাবে।
২. সুতোর সাহায্যে
এক টুকরো সুতোর মাথায় মধু মাখিয়ে আগুন ধরান। যদি আগুন ধরে যায় এবং সুতো পুড়ে যায়, তবে মধু খাঁটি। যদি আগুন না ধরে বা দহনের সময় ফটফট শব্দ হয়, তবে মধুতে জল বা ভেজাল মিশ্রণ রয়েছে।
৩. আঙুলে মাখানোর পরীক্ষা
আঙুলে অল্প মধু নিয়ে ঘষুন। যদি মধু দ্রুত শোষিত হয়ে যায় এবং আঠালো না হয়, তবে সেটি খাঁটি। ভেজাল মধু আঠালো এবং সহজে ত্বকে শোষিত হয় না।
৪. কাগজের উপরে
সাদা টিস্যু বা ব্লটিং পেপারে এক ফোঁটা মধু ফেলুন। খাঁটি মধু কাগজে ছড়াবে না এবং কাগজের উল্টো পিঠে দাগ ফেলবে না। ভেজাল মধু কাগজে ছড়িয়ে যাবে ও পেছনে ভেজা দাগ ফেলবে।
৫. ভিনিগার পরীক্ষা
এক চামচ মধুতে সামান্য জল মিশিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার যোগ করুন। যদি ফেনা উঠে আসে, তবে বোঝা যায় তাতে কিছু রাসায়নিক উপাদান মেশানো রয়েছে। খাঁটি মধুতে এমন প্রতিক্রিয়া হয় না।
