রোজ জিমে গিয়ে কসরত করেন, বা বাড়িতেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন? দৌড়াতেও যান? তাও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না? মেদ ঝরে কাঙ্খিত ফিগার পাওয়ার বদলে কেবল ক্লান্তিই বাড়ছে পরিশ্রম করে? তাহলে অজান্তেই এই ভুল করছেন না তো? ফিট থাকতে গিয়ে ভুল করে বসছেন না তো? জনপ্রিয় ফিটনেস ট্রেনার জানাচ্ছেন, কেবল শরীর চর্চা করলেই হবে না, সঠিক সময় শরীর চর্চা করা প্রয়োজন, তবেই উপকার পাবেন। ভুল সময় ব্যায়াম করলে হিতে বিপরীতে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধীর গতিতে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন। মেদ দ্রুত গতিতে ঝরবে না। তাই জেনে নিন শরীর চর্চা করার সঠিক সময় কোনটি, আর কখন একেবারেই ব্যায়াম করবেন না। 

অ্যালেক্স ওরফে ওনরাতো লিফটস নামক এক ন্যাশনাল আকাদেমি অফ স্পোর্টস মেডিসিনের সার্টিফায়েড পার্সোনাল ট্রেনার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করার ভুল সময় কোনগুলো। কখন ভুলেও শরীর চর্চা করা উচিত নয়। এই সময়গুলোতে শরীর চর্চা করার অর্থ স্ট্রেস বাড়ানো। 
কী জানিয়েছেন এই ফিটনেস ট্রেনার? তাঁর মতে ৩ ঘণ্টার কম সময় ঘুমানোর পরই শরীর চর্চা বা সঠিক পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে শরীর চর্চা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন না। আর কী জানালেন তিনি? 

কখন ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা উচিত নয়? 

পার্টি করার পর: যে রাতে জমিয়ে পার্টি করবেন, অর্থাৎ মদ্যপান করবেন তার পরদিন শরীর চর্চা করা উচিত নয়। কেন? কারণ অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশন ঘটায়, আর তার থেকে সেরে উঠতে শরীরের সময় লাগে। টক্সিন বের হতেও সময় নেয় শরীর থেকে। যতক্ষণ না এটি ঘটছে ততক্ষণ শরীর চর্চা করা উচিত নয়, করলে ক্লান্তি আরও বাড়বে। পার্টি করার পর তাই বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। ঘুমানো উচিত। 

সকালের শরীর চর্চা: আপনি যদি নিয়মিত রাতেই শরীর চর্চা করে থাকেন তাহলে সেটা করাই উচিত। আপনার শরীর তাতে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ করে রুটিন বদলে সকালে শরীর চর্চা করবেন না, রাতে সময় পাবেন না বলে। এতে স্নায়ুতন্ত্রে চাপ পড়ে। 

খাবার খেয়ে: ভরপেট খাবার খেয়ে কখনই শরীর চর্চা করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার পর শরীর সেটা হজমে মন দেয়, মাসলে নয়। 

অনিদ্রা: সারারাত জেগে, পর্যাপ্ত না ঘুমিয়ে ব্যায়াম করলে ক্লান্ত লাগবে। এতে হরমোনেও গড়বড় দেখা যেতে পারে। দুই তিন ঘণ্টা ঘুমিয়ে, কফি খেয়ে শরীর চর্চা করা কোনও কাজের কথা নয় বলেই জানিয়ে দিলেন অ্যালেক্স। ঘুম শক্তি জোগায়। 

সঠিক খাবার: ব্যালেন্সড ডায়েট খাওয়া জরুরি। সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যাতে শরীর এনার্জি পায় ব্যায়াম করার জন্য। 

অসুস্থ থাকলে: অসুস্থ থাকলে এমনই ক্লান্তি ভাব থাকে, সেই সময় জোর করে শরীর চর্চা করার অর্থ স্ট্রেস লেভেল বাড়ানো। তাই জ্বর হলে, বুকে কফ জমলে, বা গা হাত পায়ে ব্যথা হলে কখনই শরীর চর্চা করবেন না। 

হেডফোন ছাড়া: হেডফোন ছাড়া কখনও শরীর চর্চা করবেন না। যদিও এটা অ্যালেক্স নিছক মজা করেই বলেন।