ব্রা মহিলাদের জন্য কেবল একটি পোশাক নয়, বরং স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। এটি স্তনকে সাপোর্ট দেয়, কাঁধের চাপ কমায় এবং ভঙ্গিমা বা পোশ্চার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবুও অনেক মহিলার মনে এখনও প্রশ্ন থেকে যায়— প্রতিদিন ব্রা পরলে কি স্তনের আকৃতি ভাল হয়? কিংবা এর আকার বাড়ে কি না?
চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, মহিলাদের স্তনের জন্য ব্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাঁর কথায়, “ব্রা স্তন ঝুলে যাওয়া রোধ করে এবং সঠিক আকার বজায় রাখে। বিশেষ করে যাদের স্তন ভারী, তাদের জন্য এটি বেশি জরুরি, কারণ এটি শরীরের ভঙ্গিমা উন্নত করে এবং কাঁধ ও পিঠের উপর চাপ কমায়।”
এছাড়াও তিনি ব্যাখ্যা করেন—
ব্রা ঘাম শোষণ করে
অস্বস্তি কমায়
স্তনের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে
অর্থাৎ, দৈনন্দিন জীবনে ব্রা শুধুমাত্র একটি পোশাক নয়, বরং এটি শরীরের আরাম ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
চিকিৎসক পরিষ্কারভাবে আরও জানিয়েছেন যে, প্রতিদিন ব্রা পরলেও স্তনের আকার বাড়ে না বা ছোটেও না। তাঁর ভাষায়, “ব্রা শুধুমাত্র অস্থায়ী সাপোর্ট দেয়। এটি স্তনকে স্থির অবস্থায় রাখে এবং আরাম দেয়, তবে এর ফলে স্থায়ীভাবে আকার বড় বা ছোট হয় না।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে স্তনের আকার নির্ভর করে মূলতঃ
জেনেটিক্স (বংশগত বৈশিষ্ট্য): পরিবার বা বংশগত বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
হরমোনাল পরিবর্তন: বয়স, পিরিয়ড সাইকেল, গর্ভাবস্থা ও মেনোপজ স্তনের আকার-আকৃতিতে প্রভাব ফেলে।
গর্ভাবস্থা: দ্রুত ওজন বাড়া বা কমা স্তনের টিস্যুতে টান তৈরি করে, যা ঝুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
ওজনের ওঠানামা: ওজন বাড়লে বা কমলে স্তনের আকারেও পরিবর্তন আসতে পারে।
তবে ব্রা ঝুলে যাওয়া বিলম্বিত করতে সাহায্য করে, কিন্তু স্বাভাবিক আকৃতি বা আকার পরিবর্তন করতে পারে না। অর্থাৎ ব্রা অবশ্যই সাপোর্ট এবং আরামের জন্য জরুরি, তবে এটি স্তনের প্রকৃত গঠন বা আকারের কোনও স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায় না।
ব্রেস্ট-টোনিং এক্সারসাইজ:
পুশ-আপস
চেস্ট প্রেস
ডাম্বেল ফ্লাইস
কোবরা স্ট্রেচ
এসব ব্যায়াম স্তনের পেশিকে মজবুত করে এবং প্রাকৃতিক শেপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সঠিক ব্রা ব্যবহার:
ওয়েল-ফিটেড, সাপোর্টিভ ব্রা পরা জরুরি।
ভারী স্তনের জন্য ফুল কভারেজ ব্রা বা স্পোর্টস ব্রা বেশি কার্যকর।
হালকা বা ছোট স্তনের জন্য প্যাডেড ব্রা আরামদায়ক হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল:
পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
জলপান বজায় রাখা।
ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা (কারণ এগুলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমায়)।
