আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে এখন ডায়াবেটিসের বাড়বাড়ন্ত। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অগ্ন্যাশয় যখন ইনসুলিন তৈরি করা বন্ধ করে দেয় বা কমিয়ে দেয়, তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রিয় খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হয় অনেক খাবার। মিষ্টি, চকোলেটের মতো খাবারগুলোকে জানাতে হয় বিদায়। । আপনিও কি এই তালিকায় রয়েছেন? তাহলে নির্বিধায় খেতে পারেন চকোলেট। তবে যেমন তেমন চকোলেট নয়, নির্দিষ্ট একটি চকোলেটেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা।
গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিস রোগী হলেও খেতে পারেন ডার্ক চকলেট। এতেই নাকি কমবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। আমেরিকার হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষকরদের দাবি, সপ্তাহে অন্তত ৫টি ডার্ক চকলেট খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমানো সম্ভব। সম্প্রতি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ৩০ থেকে ৫০ বছর কিংবা তার বেশি বয়সিদের ডার্ক চকোলেট খাওয়ানো হয়েছিল। যেখানে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে গিয়েছে।
মিল্ক চকোলেট বা দুধ দিয়ে চকোলেট খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে এমন প্রমাণও কিন্তু পাওয়া যায়নি। তবে চিনি, দুধের প্রভাবে এই ধরনের চকোলেট খেলে ওজন বাড়তেই পারে। আর ওজন বাড়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক রয়েছে। আসলে মিল্ক চকোলেটে চিনি ও দুধ থাকে বলে এর গ্লিসিমিক ইনডেক্স ৪০ থেকে ৫৫-র মধ্যে থাকে। তাই এটি খাওয়ার সময় সুগারের রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে। একসঙ্গে বেশি খেয়ে ফেললে ক্ষতি হতে পারে শরীরের।
অন্যদিকে, ডার্ক চকোলেটের গ্লিসিমিক ইনডেক্স ৩০-র কম। যার ফলে এটি কিছুটা বেশি খেলেও রক্তে সুগার বাড়ে না। ডার্ক চকোলেট খেলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। কারণ এতে রয়েছে পলিফেনল নামে এক উপাদান। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সাহায্য করে। তাই মিল্ক চকোলেটের বদলে ডার্ক চকোলেট স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে সুগারের রোগীদের জন্য।
