আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওজন কমাতে কত ঝক্কিই না পোহাতে হয়! নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা সহ জীবনযাপনের সঙ্গী করতে হয় আরও কত কিছু। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও মেদ ঝরাতে পারেন না  অনেকে। আর তখনই নাকি কামাল করতে পারে কোরিয়ান ডায়েট। কোরিয়ান রূপচর্চার মতোই এই ডায়েট বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ কোরিয়ান ডায়েটে ভরসা রাখলেই চটজলদি কমবে ওজন। কিন্তু কী এই বিশেষ পদ্ধতি? জেনে নিন বিশদে-

কোরিয়ান ডায়েট আসলে বিশেষ খাদ্যাভাস। যার মূল নিয়ম হল সারা দিনে আট গ্লাস বা দুই লিটার জল খাওয়া, কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমানা, পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া, ১০-১৪ ঘণ্টা ইন্টারমিটেট ফাস্টিং. সপ্তাহে অন্তত চার দিন হাই-ইনটেনসিটি ওয়ার্কআউট, রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে খাওয়া। পরিমিতি খেতে হবে ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও কার্বহাইড্রেট।

চার সপ্তাহের নিয়ম

সপ্তাহ ১ঃ প্রথম সপ্তাহে শরীরকে ডিটক্স এবং অন্ত্রকে পরিষ্কার করার কাজ চলবে। প্রথম তিন দিন চার বার প্রোটিন শেক এবং খালি পেটে প্রোবায়োটিক খেতে হবে। সঙ্গে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে। প্রথম সপ্তাহে প্রথম তিন দিন বাঁধাকপি, শসা, ব্রকলি, টফু এবং মিষ্টি ছাড়া দই খেতে পারেন। এরপরের চার দিন মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, অথবা কম চর্বিযুক্ত রেট মিট খাওয়া যাবে,।  তবে ময়দা, , দুগ্ধজাত পণ্য এবং কফি খাওয়া চলবে না। 
 
সপ্তাহ ২ঃ দ্বিতীয় সপ্তাহে একদিন ২৪ ঘণ্টার জন্য উপোস করতে হবে। উপোস ভেঙে বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিনার খেতে হবে। এই পর্যায়ে খাদ্যতালিকায় রয়েছে প্রতিদিন দুটি প্রোটিন শেক, কম কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার। এক্ষেত্রে দুপুরে চাইলে ভাত, সবজি  খেতে পারেন। তবে ডিনারে কার্বহাইড্রেট ছাড়া শুধুই প্রোটিন রাখতে হবে। খিদে পেলে বাদাম ও ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। 

সপ্তাহ ৩ ও ৪ঃ শেষ দুই সপ্তাহে মেদ ঝরাতে বেশি সময় উপোস করতে হবে। তৃতীয় সপ্তাহে টানা দু’দিন এবং চতুর্থ সপ্তাহে তিন দিন উপোস করতে হবে। সঙ্গে চলবে ঘাম ঝরিয়ে এক্সারসাইজ। চার সপ্তাহ হয়ে গেলেও সপ্তাহে একদিন ২৪ ঘণ্টা এবং আরেক দিন ১৪ ঘণ্টা উপোস করলে আর ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।