রোজকার খাবার যে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে সে কথা তো সকলেরই জানা। এমনকী বড় বড় রোগও নিয়ন্ত্রণ করা যায় ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ডায়েট মেনে চললে। তবে খাবারের প্রভাব কেবল শরীরের উপর নয়, মস্তিষ্কের উপরেও পড়ে। অজান্তেই রোজকার জীবনে থাকা একাধিক পছন্দের খাবার নীরবে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। তবে একদিন এই রোগ তৈরি হয় না, বা তার প্রভাব দেখাও যায় না। কিন্তু একবার সেই রোগগুলো শরীরে থাবা বসালে, তার কুপ্রভাব আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। খাবারের কারণে ডিমেনশিয়া থেকে শুরু করে, লিখতে পড়তে সমস্যা সহ ভুলে যাওয়া, ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর এর নেপথ্যে কোন কোন খাবার আছে জেনে নিন।
কোন কোন খাবার নিঃশব্দে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছে?
আর্টিফিসিয়াল সুইটনার্স: এগুলো মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক রাসায়নিক সিগন্যালকে ব্যাহত করে। প্রদাহ বাড়ায়। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। বিগড়ে দেয় মুড। এই তালিকায় কোল্ড ড্রিঙ্কস, সোডা, পুডিং, জেলি, চুইং গাম, ইত্যাদি থাকবে। এমনকী এই তালিকায় চা, দুধ, কফিতে অতিরিক্ত চিনি বা সুগার ট্যাবলেট গুলে খাওয়ার মতো অভ্যাসও থাকবে। এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে নিয়মিত খেলে তা অজান্তেই আপনার ক্ষতি করছে।
অতিরিক্ত চর্বি-যুক্ত খাবার: এই ধরনের খাবার রোজ রোজ খেলে স্ট্রেস বাড়ে। মস্তিষ্কের কোষগুলো একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে বা সিগন্যাল পাঠাতে পারে না। নতুন জিনিস শেখায় ব্যাঘাত ঘটায়। এই তালিকায় থাকবে বার্গার, ফ্রাইস, কেক, কুকিজ, ইত্যাদি। এই খাবারগুলো ব্রেন প্লেগ তৈরি করে। আবার অ্যালঝাইমার্স থেকে ডিমেনশিয়ার মতো রোগ ঘটাতে পারে।
প্রসেসড খাবার: সসেজ থেকে শুরু করে কোল্ড ড্রিঙ্কস, সালামি, হ্যাম, নাগেটস, ইত্যাদি ধরনের খাবার কিন্তু শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো মস্তিষ্কের সুগারের ব্যালেন্স গড়বড় করে দেয়। এর কারণে মনোযোগ দুর্বল হয়ে যায়। ফোকাস নড়ে যায়। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে। বাড়িয়ে তোলে প্রদাহ।
সসেজ, সালামি, বার্গার, ইত্যাদি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয় অনেকেই জানেন। কিন্তু, সুগার ট্যাবলেট বা ডায়েট কোকের মতো খাবার বা পানীয়, যেগুলো স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয় সেগুলো আদতে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। ফলে এবার থেকে পছন্দের এই খাবার খাওয়ার আগে তার নেতিবাচক দিকগুলো মাথায় রাখবেন।
