মিল্টন সেন: বুধবার মণিপুরকে হারিয়ে জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রি-কোয়াটার ফাইনালে ওঠে বাংলা হ্যান্ডবল দল। বৃহস্পতিবার সকালে বড় ব্যবধানে লাক্ষাদ্বীপকে হারিয়ে তারা পৌঁছে গেছে কোয়াটার ফাইনালে।

স্বাভাবিক কারণেই প্রত্যাশা বেড়েছে। এদিন চুঁচুড়ায় নেতাজি পোর্টস এরিনায় জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়ানশিপ প্রতিযোগিতা দেখতে এসে বাংলার জয় নিয়ে আশাপ্রকাশ করেন হুগলির সংসদ রচনা ব্যানার্জি।

তিনি জানান, এই প্রতিযোগিতায় বাংলা দল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে। বাংলার জয় নিয়ে তিনি আশাবাদী। কলকাতায় মেসির সফর নিয়েও মুখ খোলেন রচনা।

বলেন, কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন সেখানে গিয়ে তিনি সামনে থেকে লিওনেল মেসির খেলা দেখেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার পর মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না।

তবে মেসিকে এক ঝলক দেখার আশায় যারা সল্টলেক স্টেডিয়ামে এসেছিলেন, তাঁদের আশা ভেঙে যাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

তাঁর মতে, সল্টলেক স্টেডিয়ামে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, ‘বহু দর্শক অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে মেসিকে দেখতে এসেছিলেন।

কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় তাঁদের সবার জন্যই খারাপ লেগেছে। এত বড় ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষমা চেয়েছেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।

তবে রচনা প্রশ্ন তোলেন, দিল্লি বা হাথরাসে কুম্ভ মেলায় যে দুর্ঘটনাগুলি ইতিমধ্যেই ঘটেছে, সেগুলির জন্য আদৌ কেউ ক্ষমা চেয়েছে?

তাঁর বক্তব্য, কোনও ঘটনা ঘটার পর মুখ্যমন্ত্রী সামনে এসে ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু আদতে সেটা কোনও সরকারি অনুষ্ঠানই ছিল না। গোটা বিষয়টি ছিল ম্যানেজমেন্টের ভুল।

পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল বলেই পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে ওঠে। তাঁর মতে, আরও সুন্দর ও সুচারু ভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা যেত।

রচনা আরও বলেন, হায়দরাবাদ, মুম্বই বা দিল্লিতে যেভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে, সেভাবেই কলকাতাতেও করা যেত।

তিনি বলেন, ‘আশা করি এই ঘটনা থেকে সবাই শিক্ষা নেবে এবং আগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না’। তাঁর মতে, অনুষ্ঠানে মেসির পাশে মুখ্যমন্ত্রী থাকতেন, সঙ্গে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবের মতো ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকতেন। মেসি হেঁটে হেঁটে এগিয়ে যেতেন, এই ভাবনাটাই হওয়া উচিত ছিল।

শুভশ্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এখন যেহেতু এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে, তাই সবার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়াও তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর সংসদ এলাকার ধনেখালি বিধানসভায় আগামী ২ থেকে ৫ তারিখ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

ওই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ ও বাইরে থেকে আগত পুণ্যার্থীরা যাতায়াত করবেন। তাঁদের সুবিধার জন্য ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এই অনুরোধ নিয়ে বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানিয়েছেন হুগলির সাংসদ।

ছবি: পার্থ রাহা