আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শরীর ফিট রাখা থেকে মেদ ঝরানো, রোজ নিয়ম করে হাঁটার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডায়াবেটিস কিংবা রক্তচাপ অথবা কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে হাঁটার অভ্যাস। তাই তো সারাদিনের ব্যস্ত রুটিনের মাঝে শরীরচর্চার সময় না পাওয়ার ঘাটতি হেঁটে পূরণ করতে চান অনেকে। কিন্তু মাইলের পর মাইল হেঁটেও অনেক সময় বিন্দু মাত্র কমে না ওজন! তাই মাঝপথেই অনেকে বন্ধ করে দেন হাঁটাহাঁটি। 

বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁটার সময়ে অনেকেই বেশ কিছু ভুল করেন। তাই কায়িক পরিশ্রম হলেও ওজন মাপার যন্ত্রে তেমন পার্থক্য নজরে আসে না। আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে, কতটা হাঁটছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে হাঁটছেন। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি। আর এই ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে একটানা। টুকটাক খুচরো হাঁটায় শরীরের কলকব্জা ভাল থাকে ঠিকই, কিন্তু তাতে ওজনের তেমন হেরফের হয় না। মেদ ঝরাতে হলে অন্তত ১৫-২০ মিনিটে দেড় কিলোমিটার পথ হাঁটতে উপকার পাবেন।একইসঙ্গে মানতে হবে কিছু নিয়ম। যেমন- 

১. হাঁটার সঠিক সময় বাছাই করুন। ওজন ঝরানোর জন্য হাঁটাকে বেছে নিলে কোন সময়ে হাঁটতে যাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। দিনের মধ্যে সকালটাই হচ্ছে হাঁটার সেরা সময়। সকাল সাতটা থেকে ন’টার মধ্যে হাঁটতে বেরলে দারুণ লাভ হয়। 

২. হাঁটাহাঁটিকে অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। প্রথম দিকে একঘেয়ে লাগলে হেডফোনে গান শুনতে শুনতে হাঁটতে পারেন। দেখা গেছে, হাঁটার সময়ে এমন কিছু হরমোন ক্ষরিত হবে, যা দুশ্চিন্তা কমায়। 

৩. সময় ধরে হাঁটার চেষ্টা করুন। খুব বেশিক্ষণ হাঁটলে যে বেশি লাভ হবে তেমনটা নয়। বরং অতিরিক্ত হাঁটলে পেশিতে চোট, পেশিতে টান এমনকি, হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। 

৪. হাঁটার জন্য জুতোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অবশ্যই পায়ে আরাম দেয়, এমন জুতো পরে হাঁটতে হবে। হাত বা পিঠে খুব বেশি ভার না থাকলেই ভাল। নয়তো তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

৫. হাঁটার সময়ে শরীরকে হাইড্রেটেট রাখতে হবে। তাই বেশি করে জল খান। ডিহাইড্রেশন হলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। ফলে পেশিতে টান ধরতে পারে।