বহু বছর পর জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। এমনই শীতকালে অনেকে এক আধ মিস করেন স্নান করা। কিন্তু এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় তার হার যেন হুহু করে বেড়েছে। তবে এটা কি জানেন, শীতে স্নান না করলে তার নেতিবাচক প্রভাব কেবল শরীরে পড়ে যে এমনটা নয়, পড়ে গ্রহের উপরেও। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, নিয়মিত স্নান না করলে গ্রহ দোষ বাড়তে পারে। আর তার কুপ্রভাবে ওষ্ঠাগত হতে পারে জীবন। কিন্তু কেন?
মনে করা হয় স্নান কেবল শরীরকে পরিষ্কার রাখে সেটাই নয়। এটা মন এবং আত্মাকেও শুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। আর স্নান না করলেই নেতিবাচক উর্জা বৃদ্ধি পায়, আর সেটার খারাপ প্রভাব পড়ে গ্রহের উপর।
স্নান না করলে কোন কোন গ্রহ রুষ্ট হয় জেনে নিন:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যদেবকে আত্মা এবং শুদ্ধতার কারক বলে মনে করা হয়। নিয়মিত স্নান না করলে সূর্য দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে কমে যায় আত্মবিশ্বাস। বৃদ্ধি পায় আলস্য। কাজে অকারণ বাধা পড়ে।
একদিকে সূর্য যখন আত্মা এবং শুদ্ধতার অধিপতি, তখন চন্দ্র হল মনের অধিপতি। শরীর পরিষ্কার না থাকলে সেটার খারাপ প্রভাব পড়ে মনেও। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চন্দ্রের উপর। এর কারণে মানসিক চাপ, সমস্যা বৃদ্ধি পায়। জীবনে অস্থিরতা তৈরি হয়।
বৃহস্পতি ইতিবাচক উর্জা দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়। তাই নিয়মিত স্নান না করলে গুরু গ্রহও দুর্বল হয়ে পড়ে।
কেবল যে গ্রহ দোষ বৃদ্ধি পায় সেটাই নয়, নিয়মিত স্নান না করলে ভাবনা চিন্তাতেও তার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। ভাবনা চিন্তা নেতিবাচক হয়ে যায়। পুজোয় মন বসে না। কাজে সাফল্য আসে না। পরিবারে অশান্তি, ঝামেলা লেগেই থাকে।
গ্রহ দোষ এড়াতে শীতকালে কী করণীয়?
তাই শীতকালে স্নান ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। গরম জলে স্নান করা উচিত। নিদেনপক্ষে রোজ হাত, মুখ, পা ধোয়া উচিত। স্নানের সময় সূর্য মন্ত্র বা গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। এতে গ্রহ দোষ কমে।
গ্রহ দোষ থেকে বাঁচতে চাইলে, রোজ স্নানের পর সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন। সোমবার করে স্নানের চলে কাঁচা দুধ মিশিয়ে স্নান করুন। এতে চন্দ্র শান্ত হয়। বৃহস্পতিবার করে হলুদ রঙের বস্ত্র পরুন।
