আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বয়স বাড়লে ত্বক তার খবর রাখে। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধ্য। জীবনে সময় যতই এগোবে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী সব থেকে আগে মুখে তার ছাপ ফুটে উঠতে বাধ্য। দামী কোম্পানির ক্রিম, ফেস সিরাম ব্যবহার করেও চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। আপনার বয়স মনে হয় আরও ২০ বছর পিছিয়ে গেছে।
জানেন কি, শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে পারলে তবেই ত্বক বাইরে থেকে টানটান থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা ধরনের প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের ব্রেন ও পেটের কাজকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এইসব অঙ্গ সুস্থ থাকলে ত্বক শুধু বাইরে থেকে নয়, ভেতর থেকেও সুস্থ থাকে। মরসুমি ফল, শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও বাদাম, বিশেষ করে আমন্ড, ওয়ালনাট, আখরোট প্রভৃতি ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখেই।
কিন্তু বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনি ২০ বছর বয়স পেরোলেই যদি নিজের ডায়েটে যোগ করতে পারেন তবে ৪০ বছর বয়সেও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে এবং আপনার সৌন্দর্য্যের আসল রহস্যের কথা কেও আঁচ করতে পারবে না।
দু'চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার জল বা ফলের রসে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দু'বার খেতে পারেন। ধীরে ধীরে ডোজ বাড়ান এবং আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন।কোন সমস্যা না হলে রোজের ডায়েটে রাখুন এই ভিনিগার।
অশ্বগন্ধার গুণ অপরিসীম। ২০ বছর বয়সের পর থেকে এই আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে চিন্তা করতে হবে না।একটি পাত্রে অর্ধেক চা চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার নিন। এতে পরিমাণ মতো জল মেশান। পছন্দমতো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মুখ ধুয়ে ফেলুন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করে, মেনোপজের সময় পিছিয়ে দেয় এবং পিসিওডি উপশম করে।
টক জাতীয় ফল এবং পেঁপে, টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা লাল ও হলুদ বেলপেপার ইত্যাদি কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। আপনার ত্বক, চুল, হাড় ও পেটের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এই কোলাজেন।বাদাম, কাজু, আখরোট, চিনাবাদাম, লাইসিন সহ অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। কারকিউমিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, কালো দাগ কমায়, এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ত্বককে নরম করে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
তাছাড়া বয়সকে হাতের মুঠোয় রাখতে আপনার রোজের ডায়েটে রাখুন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার।নানা রঙের বেরি, ডার্ক চকলেট, গ্ৰিন টি ও বিভিন্ন ধরনের ফলের উপাদান শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সঙ্গে জোরদার লড়াই করে।যা আপনার বয়সের ছাপকে উধাও করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
ডিম, চিকেন, মাছ, মুসুর ডাল, পনীর ও মাসরুমের মত হাই প্রোটিনকে নিজের রোজের ডায়েটে অপরিহার্য খাবার হিসেবে রাখুন।প্রোটিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
