আজকাল ওয়েবডেস্ক: জুনিয়ররা সামিল প্রতিবাদে। অথচ দিতে হবে পরিষেবা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ডিউটি রোস্টারে পরিবর্তন আনা হল। নতুন এই রোস্টার অনুযায়ী, সমস্ত সিনিয়র চিকিৎসক এমনকী বিভাগীয় প্রধানরাও রবিবার হাসপাতালে উপস্থিত থাকবেন।
এবিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যক্ষ ডা: ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগী পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক রাখা যায় সেকথা মাথায় রেখেই সিনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ডিউটি ভাগ করে নিচ্ছেন।'
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুরু হয় তাঁদের কর্মবিরতি। যার জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। ভর্তি না হতে পেরে রোগী যেমন ফিরে গিয়েছেন তেমনি বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।
এবিষয়ে শহরের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক অধ্যাপক চিকিৎসক বলেন, 'হাসপাতালে অনেক বিভাগ আছে যেখানে রোগী অনুযায়ী যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎসক নেই। যেটুকু আছে সেখানেও যদি কম পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবা তো ব্যহত হবেই। এই মুহূর্তে যেহেতু জুনিয়ররা আন্দোলনে সামিল আছেন স্বাভাবিকভাবেই বিভাগে বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাব হচ্ছে।'
সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি আরও যে সমস্যার এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ মুখোমুখি হচ্ছেন সেটি হল অস্ত্রোপচার। হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার প্রায় হচ্ছে না বললেই চলে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের কথা অনুযায়ী, 'জটিল অস্ত্রোপচার করতে গেলে 'টিম'-এ বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকের পাশে থেকে তাঁদের সাহায্য করেন জুনিয়ররা। যেহেতু এখন জুনিয়ররা আন্দোলনে আছেন ফলে স্বাভাবিকভাবেই জরুরি অস্ত্রোপচার কিছুটা ধাক্কা খাচ্ছে। এটা শুধু এই হাসপাতালেই নয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই এই অবস্থা।'
ফলে এই মুহূর্তে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার। যার জন্য সিনিয়র চিকিৎসকরা নিজেরাই রোস্টার বানিয়ে নিজেদের ডিউটি ঠিক করে নিচ্ছেন। যার জন্য রবিবারও তাঁদের ডিউটি করতে হচ্ছে। এবিষয়ে এক সিনিয়র চিকিৎসক জানান, 'জুনিয়ররা যে কোনও কাজ করছে না সেই বিষয়টি কিন্তু ঠিক নয়। ঘটনা হল অন্য সময়ে তাঁরা যতটা সক্রিয় থাকতেন এই মুহূর্তে তাঁরা অতটা সক্রিয় নয়। সেজন্যই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।'
