আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর রাতারাতি চর্চায় উঠে এসেছেন আশুতোষ শর্মা। তাঁর ৩১ বলে ৬৬ রানে ভর করে সোমবার লখনউকে ১ উইকেটে হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ২১০ রান তাড়া করে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নেয় দিল্লি। যাবতীয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মনের জোর ধরে রেখে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আশুতোষ। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন ২৬ বছরের তরুণ ব্যাটার। ২০২৪ সালে গুজরাটের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় আশুতোষের। সেই ঘটনা তুলে ধরেন রেলওয়ের হেড কোচ নিখিল ডোরু। তিনি বলেন, 'নির্বাচকরা ওকে রেলওয়ের রঞ্জি ট্রফি দলে নিতে চাইছিল না। ওরা বলেছিল, আশুতোষ ব্যাট করতে জানে না। ও শুধু বড় শট মারতে পারে। আমি ওদের জোর করি। জানাই, ও গেম চেঞ্জার হতে পারে। প্রথম তিন-চারটে ম্যাচে ওকে নেওয়া হয়নি। শেষমেষ গুজরাটের বিরুদ্ধে ম্যাচে সুযোগ পায়। নিশ্চিত ছিল, ব্যর্থ হলেই ওকে ছাঁটাই করা হবে। কারণ নির্বাচকরা ওকে চায়নি। ম্যাচ ভালসাডেতে ছিল। উইকেট বোলিং সহায়ক। পরিস্থিতি আশুতোষের বিরুদ্ধে ছিল। রেলের লাইনআপ নিয়েও বিভ্রান্তি হয়। টসের সময় দুটো দল জমা দেওয়া হয়। একটাতে আশুতোষের নাম ছিল, অন্যটাতে ছিল না। যার ফলে আশুতোষের আগে কর্ণ শর্মাকে নামাতে বাধ্য হই। কারণ আমাদের বিসিসিআই থেকে অনুমতি লাগত। সেটা নিতে ১৫-২০ মিনিট লেগে যায়। আমি ভয় পেয়েছিলাম, ৮ উইকেট পড়ে গেলে আশুতোষের কিছু করার থাকবে না।'
রেলের কোচের আশঙ্কা সত্যি হয়নি। ৬ উইকেটে রেলওয়ের ১৪৫ রান থাকাকালীন ব্যাট করতে নামেন আশুতোষ। সেই সময় নাকি রেলের কোচ ডোরু গুজরাটের রবি বিষ্ণোইকে বলেন, 'আমাদের ব্যাটিং সবে শুরু হয়েছে।' যা শুনে হেসে উড়িয়ে দেন ভারতীয় স্পিনার। কিন্তু কোচের মান রাখেন আশুতোষ। বোলারদের সঙ্গে নিয়ে প্রথম ইনিংসে রেলকে ৩১৩ রান তুলতে সাহায্য করেন। ৮৪ বলে ১২৩ রান করেন। ইনিংসে ছিল ১২টি চার, ৮টি ছয়। সবাই ভেবেছিল ২০০ রানের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে রেলওয়ের প্রথম ইনিংস। কিন্তু আশুতোষের ব্যাটে ভর করে দল প্রত্যাবর্তন করে। ১৮৪ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি। টি-২০ ক্রিকেটে ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড আছে আশুতোষের। ২০২৩ সালে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে মাত্র ১১ বলে অর্ধশতরান করেন। আশুতোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রেলওয়ের কোচ। ডোরু জানান, তরুণ মারকুটে ব্যাটার সবসময় হৃদয় দিয়ে খেলেন। দিল্লির হয়ে আইপিএল জেতাই তাঁর স্বপ্ন।
