আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিদিদের গায়ের রং ফর্সা। অথচ তাঁর গায়ের রং কালো। বাবা-মা, দিদিদের সঙ্গে তাঁর চেহারার কোনও মিলই খুঁজে পাননি বৃদ্ধা। ছোট থেকেই নিজের চেহারা নিয়ে ধোঁয়াশায় ছিলেন। অবশেষে ঘরে বসেই ডিএনএ পরীক্ষা করালেন। রিপোর্ট হাতে পেয়েই তাঁর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। ৬০ বছরের পুরনো ঘটনা, অবশেষে তিনি জানতে পারলেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একদিন ঘরে একাই বসেছিলেন বৃদ্ধা। একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। খানিকটা মজার ছলেই ডিএনএ পরীক্ষা করান। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টেই ৬০ বছরের পুরনো ঘটনা ফাঁস হয় তাঁর কাছে। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ছোট বয়সেই তাঁর বাবা-মা মারা যান। আত্মীয়দের কাছে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। চার বোন তাঁরা।
বৃদ্ধা জানিয়েছেন, বাবা-মা ও তিন দিদির সঙ্গে তাঁর চেহারার কোনও মিল ছিল না। দিদিরা লম্বা, ফর্সা, রোগা ছিলেন। অন্যদিকে বৃদ্ধার গায়ের রং কালো, ছোট থেকেই তিনি মোটা এবং বেঁটে। কিন্তু রহস্য কী, তা জানতেন না। ডিএনএ পরীক্ষার পর জানতে পারেন, যাঁকে বাবা বলে ডাকতেন, তিনি আসলেই তাঁর জন্মদাতা নন। তাঁর মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁর জন্ম হয়।
ছোট থেকে যাঁকে তিনি কাকা বলে ডাকতেন, সেই ব্যক্তিই আসলে বৃদ্ধার বাবা ছিলেন। একঘেয়েমি দূর করতে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর পর, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা।
