আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইজরায়েল ইরানের উপর ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করেছে। যার পর ইরানও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার জন্য চাপ দিচ্ছিল, কিন্তু ইরান তাতে কান দেয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইরানকে আক্রমণ এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল যে আমেরিকা ইজরায়েলের মাধ্যমে ইরানকে শিক্ষা দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই ঘটনাই ঘটল।
ইজরায়েলের আক্রমণেও মাথা নত করেনি ইরান। পাল্টা ১০০ ড্রোন দিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-র দেশে হামলা চালানো হয়েছে। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই প্রতিশোধের কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত। ইরানের এমন কী ক্ষমতা আছে যে তারা ইজরায়েল এবং আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের সামনেও মাথা নত করছে না।
২০২৪ সালের অক্টোবরে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের পর থেকেই ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান প্রতি মাসে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ২০০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশেনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) শুধু অস্ত্রের কারণেই শক্তিশালী নয়, এর গোয়েন্দাবিভাগও যথেষ্ট শক্তিশালী। সামরিক শক্তিতে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ১৬ নম্বরে রয়েছে ইরান।
ইরান সেনাবাহিনীকে পরে আক্রমণ করতে দেয়, প্রথমে তারা ছদ্ম সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং লেবানন সহ অনেক দেশে ইরানের এমন লোক রয়েছে, যারা সরাসরি আক্রমণ করতে দ্বিধা করেন না।
চীন এবং রাশিয়া, এই দুই শক্তিশালী দেশের সঙ্গে ইরানের সুসম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশই আমেরিকার বিরোধী। ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে S-400 আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পাচ্ছে। এই দুই দেশের সমর্থন এবং নিজস্ব শক্তির কারণেই ইরান আমেরিকার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পেয়েছে।
