আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্তে জোর চর্চা বিশ্ব জুড়ে। তাতে কি একে একে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে অন্যান্য দেশের সঙ্গে? কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মন্তব্য সেই জল্পনা বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ।
কার্নির দাবি, কানাডা-আমেরিকার মধ্যে আর পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই। দুই দেশের সম্পর্ক, সম্পর্কের অতীত-অভিষ্যত নিয়ে আলচনার পরেই একথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু দুই দেশ, মূলত আর্থ-সামাজিক, সামরিক-নিরাপত্তা-সহ একাধিক কারণে দীর্ঘকাল যে দুই দেশের সু-সম্পর্কের কথা জেনেছে বিশ্ব, আচমকা কেন তাদের সম্পর্কের অবনতি? কারণ হিসবে উঠে আসছে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়েছেন, আমেরিকায় আমদানি হওয়া সব গাড়ির উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপাবে মার্কিন মুলুক। এই প্রসঙ্গে আভাস যদিও আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতেই আমদানি গাড়ির উপর শুল্ক চাপানোর ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল, মার্চের একেবারে শেষে জানালেন, তা কার্যকরী হবে ঠিক কবে থেকে।
২ এপ্রিল থেকেই এই নতুন নিয়ম কার্যকরী হবে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে কারণ? কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, নয়া নিয়ম চালু হলে, তাতে মার্কিন মুলুকের ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, হিসেব সেই অঙ্ক বিপুল। অন্যদিকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হলে, আমেরিকায় শিল্প আরও কিছুটা গতি পাবে বলেও মনে করছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এতে যেমন একাধিক ভারতীয় সংস্থা সমস্যার সম্মুখীন হবে, তেমনই বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা কানাডারও। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ঘোষণার পর নির্বাচনী প্রচার থামিয়ে বৈঠকে বসেন কার্নি। তাঁর মতে এই নয়া নীতিতে দেশগুলির মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘিত হবে।
