আজকাল ওয়েবডেস্ক: পায়রা, বাদুড়, বিড়াল এবং কুকুরের মতো বেশ কিছু প্রাণীর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে বলে মনে করা হয়, যদিও এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। কিছু প্রাণী, যেমন পায়রা এবং বাদুড়, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সনাক্ত করতে পারে, যা তাদের স্থানান্তরের সময় দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজে লাগে। বিড়াল এবং কুকুরের ক্ষেত্রে, তাদের স্বজ্ঞা এবং অনুভূতির কারণে তাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আছে বলে মনে করা হয়।
এছাড়াও, কিছু প্রাণী, যেমন সাপ এবং সরীসৃপ, জ্যাকবসনের অঙ্গ ব্যবহার করে বায়ুর রাসায়নিকের উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে, যা তাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মতো কাজ করে।
মোট কথা, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় শব্দটি মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি ধারণা। বিজ্ঞান এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না যে কোনও প্রাণীর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে, তবে কিছু প্রাণীর কিছু বিশেষ ক্ষমতা আছে যা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় হিসেবে পরিচিত।
চোখ, কান, নাক, জিভ, ত্বক ছাড়াও আরেকটি ইন্দ্রিয় আছে বলে ধারণা করা হয়। একে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে। জানা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়ে যেসব অনুভূতি পাওয়া যায়, তার বাইরে কোনও কিছু অনুভূত হলে আমরা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কেই দায়ী করি। আবার অনেকে মনে করে, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় হল মন এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুভূতি—যা চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বকের সাহায্য ছাড়াই সরাসরি মনের মাধ্যমে অনুভূত হয়।
এই ধরনের অনুভূতির ধারণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ভবিষ্যৎ দেখা/অনুমান করা, অশরীরীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কথা বলা, ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও কোনও ঘটনা ঘটার সময় তা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি।
প্রচলিত ধারণা, ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টি সাধারণত বিশেষ বিশেষ কিছু মানুষের মধ্যেও সুপ্ত অবস্থায় থাকে। বিশেষ মুহূর্ত ছাড়া ওইসব লোকের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দেখা যায় না। অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়ের অধিকারী ব্যক্তিরা তাঁর ‘তৃতীয় চক্ষু’ দ্বারা অদৃশ্য বস্তুকে অতি সহজেই দেখতে পারেন।
অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের চেয়ে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টি অধিক জটিল ও কদাচিৎ তুলনাযোগ্য থাকে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়টি পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সমন্বয়ে গঠিত। এই ইন্দ্রিয়গুলো হল—টেলিপ্যাথি, সাইকোমেট্রি, ক্লিয়ার ভয়েস, রিকগনিশন ও প্রিকগনিশন। টেলিপ্যাথি মৌখিক ও লিখিত ছাড়াই লিখতে ও ভাবতে সাহায্য করে।
