আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষের ব্রেন হল সেই বস্তু যাকে নিয়ে বহু যুগ ধরে নানা ধরণের গবেষণা চলেছে। এটি দেখতে খুব একটা বিরাট বলে মনে না হলেও এর কাজ অতি বেশি। এটি যুগের পর যুগ ধরে প্রতিটি বিজ্ঞানীকে অবাক করে দিয়েছে। একটি শিশুর জন্মের আগে থেকেই তার ব্রেনের কাজ শুরু হয়ে যায়। এর কাজ শেষ হয় মানুষের মৃত্যুর পরেই।


অ্যাসট্রোসাইটিস নামে ব্রেনের মধ্যে এমন একটি কোষ রয়েছে যা ব্রেনের প্রধান কাজের শক্তি। অন্যদিক থেকে বলা যায় এটি মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ স্মৃতিকে মনে রাখতে পারে। একে দেখতে অনেকটা আকাশের তারার মতো। তবে এর কাজ তার থেকে অনেক বেশি। আমরা যাদের বলি অতি ভাল স্মৃতিশক্তির অধিকারী তাদের ব্রেনে এই কোষটি অতি উন্নত ধরণের থাকে। অন্যদিকে যাদের সেটি থাকে না তাদের স্মৃতি কম শক্তিশালী হয়ে থাকে।


মানুষের ব্রেনে ৮৬ বিলিয়ন নিউরোন থাকে। এদের কাজ হল প্রতিটি সময় ব্রেনকে সিগনাল দেওয়া। এরফলে মানুষ চিন্তা করতে, অনুভব করতে এবং মনে রাখতে পারে। তবে এর পাশাপাশি অ্যাসট্রোসাইটিসরা নিজের মতো কাজ করে যায়। এদের প্রধান কাজ হল ব্রেনকে পরিষ্কার রাখা, সঠিক পুষ্টি দেওয়া এবং ব্রেনে সঠিক রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।


অ্যাসট্রোসাইটিস বহু বছর ধরে ব্রেনের ব্যাক আপ হিসেবেই কাজ করেছে। তবে এবার তাদের সামনে আসার পালা। সম্প্রতি মাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির গবেকরা মনে করছেন এই কোষগুলির কাজ আরও বেশি। এরা ব্রেনের স্মৃতিকে ধরে রাখতে, তাকে পরিবর্তন করতে এবং গোটা বিষয়টি বুঝতে বিরাট সাহায্য করে থাকে।


নিউরোনের মতোই এরা বিশেষ ধরণের সিগন্যাল দিয়ে থাকে। এগুলি থেকে বোঝা যায় এদের ক্ষমতা কতটা। এরা প্রতিটি সময়ে আগের স্মৃতিকে ধরে রাখে। তাকে নতুনভাবে কাজ করতে বিরাট উৎসাহ যোগায়। এই সমস্ত কাজ এরা কয়েক সেকেন্ডের কম সময়ে করে থাকে।