আজকাল ওয়েবডেস্ক: পানীয় শুষে খাওয়ার জন্য আমেরিকায় ফিরছে প্লাসটিকের স্ট্র। সোমবার নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্লাসটিকের ব্যবহার পরিবেশের উপর কুপ্রভাব ফেলে। ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে প্লাসটিকের স্ট্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ২০৩৫ সালের মধ্যে সরকারি সংস্থাগুলিতে একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের স্ট্র-সহ বিভিন্ন জিনিস নির্মূল করার লক্ষ্যেই ছিল সেই আদেশ। কিন্তু, পরিবেশবিদদের সতর্কবাণী উড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের সাফ দাবি, সামুদ্রিক জীবনের প্লাসটিকের স্ট্রয়ের প্রভাব খুবই সীমিত। এছাড়া পরিবেশবাদীদের পছন্দের কাগজের স্ট্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অসুবিধাজনক।  প

ওভাল অফিসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমরা প্লাস্টিকের স্ট্রয়ের দিকে ফিরে যাচ্ছি।" প্রেসিডেন্টের সংযোজন, "কাগজের স্ট্র ভালো করে কাজ করে না, আমি সেগুলি অনেকবার ব্যবহার করেছি। সেগুলি মাঝে মাঝেই ভেঙে যায়, ফেটে যায়। গরমে কাগজের স্ট্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কয়েক মিনিট,এমনকি কখনও কখনও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তখন হাস্যকর পরিস্থিতি হয়।"

পরিবেশবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই প্লাস্টিকের স্ট্র এবং প্লাসটিক দিয়ে তৈরি পাত্রের ব্যবহার বন্ধ করার জন্যপ্রচার চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি প্লাসটিকের স্ট্র দেখতে ক্ষুদ্ধ মনে হলেও সেগুলি সামুদ্রিক পরিবেশকে ভীষণভাবে দূষিত করে। কিন্তু ট্রাম্প সেসব যুক্তিব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কাগজেয় স্ট্র নিয়ে বিরক্ত। প্রেসিডেন্টের কথায়, "আমি মনে করি না যে প্লাস্টিক হাঙর খাচ্ছে, ফলে প্লাটিকের প্রভাব তাদের উপর পড়বে না।"

ট্রাম্পের স্বাক্ষরের নথিটি উপস্থাপন করে হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি উইল স্কার্ফ জানিয়েছেন যে, পরিবেশগত প্রভাব "সম্পূর্ণ বিতর্কিত" এবং আমেরিকানরা "প্লাসটিকের স্ট্র নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।"

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসে জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা মানতেই চাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর, প্রথম বক্তৃতাতেই 'প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি' থেকে আমেরিকার বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে পরিবেশের উপর একাধিক আদেশ জারি করেছেন। বৈদ্যুতিন গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বাইডেন প্রশাসনের সব চেষ্টাকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রথম দিনই আরও বেশি করে জ্বালানি তেলের ব্যবহারকে উৎসাহ দিয়েছিলেন। তাঁর 'উই উইল ড্রিল বেবি, ড্রিল' (আমরা খুঁড়ব সোনা, খুঁড়ব) মন্তব্য বোধহয় এখনও দুঃস্বপ্নে শুনতে পান পরিবেশবিদরা।