আজকাল ওয়েবডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়ার এক কুকুর মালিক তাঁর অদ্ভুত প্রতিদিনের সকালের রুটিন টিকটকে শেয়ার করার পর সেটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও দেখে নেটিজেনরা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন।


রবিবার শেয়ার করা এই মজার ভিডিওটি, ২৮ বছর বয়সী মিকায়েলা ওয়াইল্ড-এর অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। এতে দেখা যায়, মালিক হাঁটার জন্য ডাকতে গেলে তাঁর ডাকশুন্ড বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকে। মিকায়েলা মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে, কুকুরটির সঙ্গে চোখে চোখ মিলিয়ে তাকে বের করতে চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে এ কী করল কাজের লোক! চারিদিকে ছি ছি পড়ে গেল


শুরুতে কুকুরটি একদম যেতে চায় না, তবে কিছুক্ষণ আদর-সোহাগের পর অবশেষে সে হারনেস পরতে রাজি হয় এবং বাইরে বের হয়। তবে হাঁটার ব্যাপারে যে সে মোটেও খুশি নয়, সেটি তার মুখভাবেই স্পষ্ট।


ওয়াইল্ড নিউজউইক-কে জানিয়েছেন, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে, সেটাই তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। কুকুরটি আসলে বাইরে যেতে একদমই পছন্দ করে না। তাই প্রতিদিন তাঁকে বিছানার নিচ থেকে বের করতে হয়, হারনেস পরানোটা তো যেন তার কাছে শাস্তি, আর শেষমেশ সে অনিচ্ছায় বাইরে যায়। তিনি আরও বলেন, “একটাই সময় সে তাড়াহুড়ো করে হাঁটে, সেটা হলো যখন বুঝতে পারে আমরা ঘরে ফেরার পথে।”


ওয়াইল্ড যোগ করেন, ডাকশুন্ড জাতের কুকুরদের সাধারণত বড়সড়, আলাদা ও অদ্ভুত ধরনের ব্যক্তিত্ব থাকে, আর তাঁর কুকুর জর্জি সেই সব বৈশিষ্ট্যই পুরোপুরি মেলাচ্ছে। ডাকশুন্ড হেলথ ইউকে-এর মতে, ছোট ডাকশুন্ড পাপিদের জন্য কাঠামোবদ্ধ ব্যায়ামের দরকার নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে বাগানে স্বাধীনভাবে খেলা যথেষ্ট। পাপিদের প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, তাই যখন তখন তাদের ঘুমোতে দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


টিকা শেষ হলে, ৫–১০ মিনিটের ছোট হাঁটাহাঁটি কয়েকদিন পরপর শুরু করা যেতে পারে, যাতে তারা মানুষ, ট্রাফিক এবং অন্য কুকুরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শেখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়ানো উচিত—প্রতি মাসে ৫ মিনিট করে। যেমন ৬ মাসে প্রতিদিন ৩০ মিনিট, আর ১২ মাসে প্রতিদিন ৪৫–৫০ মিনিট অন-লিড হাঁটা উপযুক্ত।


তবে এই “প্রতি মাসে ৫ মিনিট” নিয়ম কেবল অন-লিড হাঁটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অফ-লিড খেলাধুলায় নয়। সেখানে কুকুর নিজের মতো করে খেলতে ও বিশ্রাম নিতে পারে। ছোটবেলায় অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে জয়েন্টের ক্ষতি, খারাপ ভঙ্গি, পা বাঁকা হয়ে যাওয়া বা পেশির দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শো-কুকুর না হলেও ধাপে ধাপে ব্যায়াম করানো সবার জন্যই ভালো।


প্রথম থেকেই সামাজিকীকরণও গুরুত্বপূর্ণ, তাই কুকুরছানাদের বিভিন্ন জায়গা ও মানুষের সঙ্গে পরিচিত করানো প্রয়োজন। মূলত, ফ্রি-প্লের সময় কুকুরকে নিজের কার্যকলাপ নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া এবং শুরুতেই লম্বা কাঠামোবদ্ধ হাঁটা এড়িয়ে চলাই তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এই ভিডিওটি টিকটকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং এখন পর্যন্ত ৫,২৩,৭০০ ভিউ এবং ৬৯,৩০০ লাইক পেয়েছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন: “সে শুধু তোমাকে খুশি করার জন্যই এটা করছে।” আরেকজন  লিখেছেন: “আমার কুকুর হাঁটতে না পারার ভান করে, কিন্তু আমরা ঘরে ফেরার জন্য ঘুরতেই সে দৌড়ায়। সসেজরা একেবারে পাগল।”