আজকাল ওয়েবডেস্ক: নর্দার্ন লাইটস বা অরোরা বোরেলিয়াস বা মেরুজ্যোতি। মহাজাগতিক এই দৃশ্য দেখা যায় উত্তর মেরুর কাছাকাছি জায়গায়। দক্ষিণ মেরুতে দেখা যায় অরোরা অস্ট্রেলিস বা সাদার্ন লাইটস। উত্তর মেরু, আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা আর অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় প্রকৃতির ওই মায়াবী রঙের খেলা। যা দেখতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকেরা। যখন চৌম্বক ক্ষেত্রে বাধা পায় ‘সোলার উইন্ড’ বা সৌর ঝড়, তখনই জন্ম হয় অরোরা বোরিয়ালিসের। সেই নর্দার্ন লাইটস অন্বেষণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, কী কারণে অরোরারা এই অনন্য নকশা তা পর্যবেক্ষণ করা। আগামী সপ্তাহেই আলাস্কা থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। যার ফলে এই মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ঘটনাটিকে আরও কাছ থেকে দেখার সুযোগ তৈরি হবে।
প্রত্যেকটি অরোরার আলাদা ধরণের হয়। অনেকটা স্নোফ্লেক বা আঙুলের ছাপের মতো। আলোর ফিতের মতো গোটা আকাশ জুড়ে ছড়িয়য়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা জানেন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে সৌর ঝড় বাধা পেলেই অরোরার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রতিটি অরোরার ধরন আলাদা কেন হয় তা জানা নেই বিজ্ঞানীদের। কেন কিছু অরোরা টিমটিয়ে জ্বলে, কেন কয়েকটি ঝিকিমিকি করে। কেনই বা কয়েকটিতে গর্ত থাকে সেটাই জানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
আলাস্কার ফেয়ারব্যাঙ্কসের পোকার ফ্ল্যাট রিসার্চ রেঞ্জে দু'টি মিশন শুরু হয়েছে। প্রথমটি, গ্রাউন্ড ইমেজিং টু রকেট ইনভেস্টিগেশন অফ অরোরাল ফাস্ট ফিচারস (জিআইআরএএফএফ)। এটিতে অরোরার ধরণ বিশ্লেষণ করবে। এর পাশাপাশি, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে ইলেকট্রনের সংঘর্ষের তথ্যও সংগ্রহ করবে। দ্বিতীয় মিশনটিতে অরোরার গর্ত বা কালো ছোপ কেন থাকে তার অনুসন্ধান করা হবে।
গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল চতুর্থ শতাব্দীতে প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে অরোরার বর্ণনা দিয়েছিলেন। "অরোরা বোরিয়ালিস" শব্দটি পরে গ্যালিলিও দ্বারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
