আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাস্পিয়ান সাগরে একটি নতুন দ্বীপের আবিষ্কার হয়েছে, যা রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা অভিযানের সময় নিশ্চিত করা হয়েছিল। এই দ্বীপটি কাস্পিয়ান সাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত, যা রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের পিপি শিরশভ ইনস্টিটিউট অফ ওশানোলজির দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখনও দ্বীপটির নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি।
এই আবিষ্কারের কারণ হল কাস্পিয়ান সাগরের জল স্তর ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে, যা নতুন দ্বীপ প্রকাশ করছে। কাস্পিয়ান সাগর বিশ্বের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ জলের একটি অংশ, যা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে নতুন দ্বীপের প্রকাশ ঘটছে।
এই নতুন দ্বীপটি কাস্পিয়ান সাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত, যা পূর্বে ছিল না। রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা এই দ্বীপটি আবিষ্কারের পরে, এর নামকরণ এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা করার জন্য একটি পরিকল্পনা করছেন।
তবে কেন এই সাগরের জল ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বিরাট চিন্তায় পড়েছে বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন যেভাবে সাগরের জলের স্তর কমছে তাতে এখানকার প্রাণীরা অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে যে এখানে জলের স্তর নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। ফলে সেদিক থেকে দেখতে হলে বিশ্বের এই প্রাচীন সাগরের জল থেকে যেসব দেশগুলি জড়িয়ে রয়েছে তারা এবার বিরাট সমস্যার সামনে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পরিবেশবিদরা মনে করছেন নতুন দ্বীপ তৈরি হওয়ার অর্থ এখানে বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি প্রভাব পড়েছে। ফলে সেখান থেকে এই সাগরের জল অতি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। এবার তারা দেখছেন কীভাবে এই সাগরের সঙ্গে বাকি সাগরের সংযোগকে আরও ভাল করা যায়। সেটি একমাত্র পথ যেখান থেকে এই ধরণের সাগরকে রক্ষা করা যেতে পারে। সাগর শুকিয়ে যাওয়ার পর যে প্রকৃতির ক্ষতি হবে তাকে আটকাতে এবার আসরে নেমেছেন সকলেই। একে কীভাবে এবার রক্ষা করা যায় সেদিকে এবার জোর দিতে কাজ শুরু করেছেন গবেষক থেকে শুরু করে পরিবেশবিদরাও।
