আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহ্বান। তবে বন্ধুত্বের নয়, মনের কথা শোনার জন্যও নয়। আহ্বান, মা হওয়ার। তারজন্য শর্ত রেখেছিলেন, তাঁর সঙ্গে সঙ্গমের এবং আরও একটি। নিজের কাণ্ডে একপ্রকার হইচই ফেলে দিয়েছেন এখন। 


জানা গিয়েছে, ওই যুবক মহিলাদের গর্ভধারণের জন্য সঙ্গমে আহ্বান জানাতেন। সাত মহিলা গর্ভবতী হয়েছেন। জাপানের যুবকের কাণ্ডে তোলপাড়। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম অ্যালিমেস হাজিমে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, তিনি কেবল তাঁদের সঙ্গেই শারীরিক মিলনে আগ্রহী হন, যাঁরা সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন। অন্যথায় তিনি অবিবাহিত যুবতী, যাঁরা মা হতে চান, তাঁদের শুক্রাণু দান করে থাকেন। 

হামিজে মূলত হোনশু দ্বীপের বন্দর শহর ওসাকার একটি অফিসে কর্মরত। বেশ কয়েকবছর আগে পর্যন্ত তাঁর জীবন এরকম ছিল না। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আর পাঁচজনের মতোই জীবন যাপন করতেন। আচমকা তাঁর এক দীর্ঘদিনের বন্ধু  বারবার তাঁকে নিজের এক ব্যক্তিগত সমস্যার কথা শেয়ার করেন। কাতর আবদেন জানান, তিনি বাবা হতে চান। স্ত্রীও চান। তবে শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁর নিজের। তিনি বন্ধুর কাছে অনুরোধ করেছিলেন, যদি হামিজে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বন্ধুর অনুরোধ রেখেছিলেন তিনি। গোটা ঘটনার সূত্রপাত মূলত এই ঘটনার পর থেকেই।

 

আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির ভুল তথ্য ভরসা করে বিমানে চড়তে গেছিল দম্পতি, তারপর যা হল!...

বন্ধু এবং তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমেই খবর চাউর হয় চতুর্দিকে। একটা সময় পর্যন্ত এই ঘটনা সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞাত থাকা হামিজে জানতে পারেন, এই ধরনের বহু যুবতী রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গীদের কারণে মা হতে পারছেন না। আবার অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা বিয়ে-সংসার করতে চান না একেবারেই, কিন্তু বাসনা মা হওয়ার। তাঁদের দাবি শুক্রাণুর। বন্ধু-বন্ধু পত্নী খবর চাউর করতেই, একের পর এক অনুরোধ আসতে শুরু করে তাঁর কাছে। উল্লেখ্য, এই সমস্ত ঘটনা হামিজে নিজেই জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে।

হামিজে জানিয়েছেন, একের পর এক অনুরোধ পাওয়ার পর, একটা সময়ে গিয়ে তিনি রাজিও হয়ে যান। তবে তাঁর শর্ত ছিল, তিনি গোটা প্রক্রিয়ার জন্য যেমন কোনও অর্থমূল্য দাবি করবেন না, তেমনই ওই সন্তানের কোনও দায়িত্ব নেবেন না। সন্তানের মা এবং খাতা-কলমের বাবা সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন, তাকে বড় করে তুলবেন। তবে সন্তান জন্মের সময়গুলিতে তাঁর মনে আবেগ অনুভূতি কাজ করত। তাও জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে, বন্ধু-বন্ধু পত্নীর সময়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'সত্যি বলতে, সন্তানের দেখে আমার মনে মিশ্র অনুভূতি জাগে, কিন্তু আমার বন্ধুর বাবা-মা স্পষ্টতই অনেকবার বলেছিলেন যে তারা একটি নাতি বা নাতনি চান। তাঁরা আনন্দে আত্মহারা ছিলেন। আমাকে বহুবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলে।' 

বন্ধু এবং বন্ধুর স্ত্রীকে খুশি হতে দেখে, সিদ্ধান্ত নেন, অন্যদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাবেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। সেখানে জানান, তিনি ইচ্ছুকদের শুক্রাণু দান করতে রাজি, আগ্রহী। সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আশ্বস্ত করার জন্য, তিনি নিয়মিতভাবে তার মাসিক সংক্রামক রোগের পরীক্ষার ফলাফল আপলোড করতেন, যদিও প্রতিটি পরীক্ষার খরচ প্রায় ১১,৭০০ জাপানি ইয়েন (মার্কিন ডলার ৮০)। শর্ত থাকে, কোনও সন্তানের দায়িত্ব তিনি নেবেন না। 

তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০টিরও বেশি অনুরোধ পেয়েছেন অল্প সময়ে। সাত জন যুবতী গর্ভবতী হয়েছেন। চারজনের সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে ইতিমধ্যেই। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও একটি বিষয় জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর ধারণা ছিল, বেশিরভাগ যুবতী তাঁর বন্ধু-বন্ধুপত্নীর মতো পরিস্থিতিতে রয়েছেন। তবে পরে জানতে পারেন, অনেকেই সমকামী। অথচ মা হতে চান। অনেকেই বিয়ে করেননি, কিন্তু মা হতে চান।