আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্পর্ক ভাঙার ক্ষোভ থেকে প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে জোড়া গ্রেনেড ছুঁড়ে মারলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের সুরাট থানি প্রদেশের থা চানা জেলায়। ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রাক্তন প্রেমিকার প্রত্যাখ্যানের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই যুবক গ্রেনেড ছুঁড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর নিজেরই। এই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সি সুরাপং থোংনাক নামে এক ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে যান সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাঁর প্রেমিকা সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে সুরাপং ক্ষিপ্ত হয়ে কাঁচি নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করতে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে কোনওরকমে সেবারের মতো ঝামেলা মিটে যায়। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে সুরাপং ফিরে গিয়ে আবার একটি M26 ফ্র্যাগমেন্টেশন গ্রেনেড নিয়ে আসেন এবং সেটি ভিড়ের দিকে ছুড়ে দেন।
প্রথমে গ্রেনেডটি না ফাটায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু দমে যাননি ওই যুবক। গ্রেনেডটি আবার ছুড়তে গিয়ে, সেটি সুরাপংয়ের হাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। বিস্ফোরণের ফলে আশেপাশের গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিস্ফোরণে দু’জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা সহ চারজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহতদের থা চানা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় সুরাপংয়ের প্রাক্তন প্রেমিকা বাড়ির ভিতরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনায় বিন্দুমাত্র চোট লাগেনি তাঁর। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, সুরাপংয়ের গাড়ি থেকে ৫০০ গ্রাম মেথামফেটামিন উদ্ধার হয়েছে। জানা যায়, তিনি পাঁচ বছর আগে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জেল খেটেছিলেন। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই যুবকের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক ডেকে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
