আজকাল ওয়েবডেস্ক: জানুয়ারি থেকেই মুখ ফিরিয়েছে শীত। সেখানে ধীরে ধীরে নিজের রাজত্ব কায়েম করছে গরম। যেসময় বিশ্বের বিভিন্ন অংশে শীতের দাপট থাকে সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছে তাপের খেলা। ২০২৫ সালে যে শীতল লা নিনা দেখার আশার ছিল গোটা বিশ্ব সেখানে এবার উল্টো ফল হতে চলেছে।
ইউরোপের আবহবিদরা মনে করছেন এবার জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই গরম পড়তে শুরু করেছে। নাসার এক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে পেরে ওঠেনি লা নিনা। তাই নিজের স্বাভাবিক গতি হারিয়ে সে ধীরে ধীরে উল্টো রাস্তা ধরেছে। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে জানুয়ারি মাসে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে গড় তাপমাত্রা ০.০০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে। এর আগেও এমন উদাহরণ রয়েছে। তবে এবার যেন একটু বেশি দ্রুত গরমের দেখা মিলেছে।
নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে এটা সঠিক। তবে এই ধরণের পরিস্থিতি বিগত ২০ বছর পর সামনে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রবাহ বাড়ছে। কয়লা, স্বাভাবিক গ্যাসের যে অংশ বাতাসে মিশছে তা থেকে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। লা নিনা যে বিশেষভাবে নিজের কাজ করতে পারল না তাতে আগামীদিনে গরম অনেক বেশি বাড়বে। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে যে শীতল বাতাসের প্রবাহ আসার কথা ছিল সেখান থেকে সে এবার উল্টোদিকে বইতে শুরু করেছে। এল নিনোর প্রভাবে যেখানে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে সকলের মনে অনুমান ছিল লা নিনার প্রভাবে শীতের সময় অনেক বেশি স্থায়ী হবে। তবে সেটা হয় নি।
২০২৪ সালে পৃথিবী এমনিতেই তার সর্বোচ্চ গরম দেখেছে। রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আর এবার লা নিনার এই উল্টো প্রভাবের ফলে চলতি বছরে গরম শুধু বেশি পড়বে তাই নয়। সেখানে তাপমাত্রার প্রভাব অনেক বেশি হবে। গরম এবার অনেক বেশি আগে এসেছে তাই এর সময় হবে অনেকটাই দীর্ঘ।
