আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনা রবিবার তৃতীয় দিনে গড়াল, পাল্টা হামলা চালাল দুই পক্ষই। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও এসপিএনডি পরমাণু প্রকল্পের সদর দপ্তরে "ব্যাপক হামলা" চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তু ছিল সেই স্থানও, যেখানে ইরান তার "পারমাণবিক আর্কাইভ" লুকিয়ে রেখেছিল বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
অন্যদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইজরায়েলের জ্বালানি পরিকাঠামো এবং ফাইটার জেটে ব্যবহৃত জ্বালানির উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করেছে। এই পাল্টা হামলার সূত্রপাত শুক্রবার শুরু হওয়া ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, “ইরানের হুমকি থেকে ইজরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। যতদিন প্রয়োজন, অভিযান চলবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইজরায়েলের এই হামলা বহু বছরের গোয়েন্দা তথ্য ও অন্তর্দৃষ্টি নির্ভর। বহু পরমাণু বিজ্ঞানী ও উচ্চপদস্থ সামরিক নেতার মৃত্যু ঘটেছে এসব হামলায়।তেলআবিভ-ভিত্তিক জাতীয় নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ড্যানি সিত্রিনোভিচ বলেন, “এই হামলা শুধু তথ্যভিত্তিক নয়, ইজরায়েলের প্রভাবশালী সামরিক দক্ষতার প্রমাণও।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েল সম্ভবত ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক গোপন সেল তৈরি করে রেখেছে, যেগুলি যে কোনো সময় সক্রিয় হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে গোটা বিশ্ব।
