আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোটা বিরোধী আন্দোলন, গণ অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। অন্যদিকে প্রবল জনরোষের মুখে পড়ে, প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং দেশ ছেড়ে ভারতে আসেন সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে নানা বিষয়ে।
তারমাঝেই জানা গিয়েছে, সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, হাসিনা-সহ আওয়ামী লিগের নেতা-মন্ত্রীদের কুটনৈতিক পাসপর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তর কথা প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, যদি তাই হয়, তাহলে কি হাসিনা আর বাংলাদেশে থাকতে পারবেন?
প্রথমেই বলা যাক, কী এই লাল পাসপোর্ট অর্থাৎ কুটনৈতিক পাসপোর্ট। সাধারণ নীল রঙের পাসপোর্টের থেকে অনেকটাই আলাদা এটি। দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-নেতা-মন্ত্রীরা এই লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। এছাড়াও রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কয়েকজনের কাছেও থাকে এটি। এই কুটনৈতিক বা লালা পাসপোর্ট যাঁদের থাকে, তাঁরা ভিসা ছাড়াই অন্য দেশে যেতে পারেন এবং সবথেকে বেশি ৪৫ দিন ভিসা ছাড়াই থাকতে পারেন। অন্য দেশে ভিসা ছাড়া গিয়ে অন অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে থাকেন তাঁরা।
হাসিনাও বাংলাদেশ থেকে ভারতে তাঁর লাল পাসপোর্ট অর্থাৎ কুটনৈতিক পাসপোর্টের জেরেই এসেছিলেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও হাসিনার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসার এখন সবে ১৭দিন হয়েছে। তাঁর হাতে এখনও প্রায় একমাস সময় রয়েছে ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকার। কিন্তু বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্র জানাচ্ছে, শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লিগের যেসব নেতার লাল পাসপোর্ট ছিল, তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নয়াদিল্লি-ঢাকা সমঝোতায় এবং হাসিনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই নজর এখন। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, সে দেশে হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। তার মাঝেই এই কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের কথা জানা গিয়েছে।
