আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও পরবর্তী কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনিই সবকিছু সামলাবেন। এসবের মধ্যেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লিবারেল পার্টির তরফে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। এক্স বার্তায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, কানাডা পুনর্গঠনের জন্য একটি 'ছোট এবং আরও দক্ষ' সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

পেশায় ইঞ্জিনিয়র ও কানাডার নেপিয়ানের সাংসদ চন্দ্র আর্য। ভারতের কর্ণাটকে জন্ম তাঁর। বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে তিনি জানান, কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান চন্দ্র। বিবৃতিতে তিনি লেখেন, কানাডাবাসীর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই রচনা করার সুযোগ এসেছে। চন্দ্রের দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণের ভিত্তিতে নয়, মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হবে। 

আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো। নাগরিকত্বের উপর ভিত্তি করে কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">January 9, 2025

২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন চন্দ্র আর্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কানাডায় বেশকিছু সমস্যা চলে আসছে, যেগুলির সমাধান আজও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ক্ষমতায় এলে সেগুলিই আগে সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। বেশ কয়েকবার, আর্য কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন এবং দেশে খালিস্তানি উগ্রবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

২০২২ সালে কানাডার সংসদে তাঁর মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় চন্দ্র আর্য গর্বের সঙ্গে নিজের সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বলেছিলেন, "আমি কানাডিয়ান পার্লামেন্টে আমার মাতৃভাষা কন্নড় ভাষায় কথা বললাম। এই সুন্দর ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারতের বাইরে বিশ্বের কোনও সংসদে এই প্রথম কন্নড় ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।" 

চন্দ্র আর্য ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ২০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় চলে যান। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন।