আজকাল ওয়েবডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটি মহাসংস্থা IBM এক বিশাল রূপান্তর শুরু করেছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি ৮,০০০ জন কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার বেশিরভাগই HR বিভাগে ছিলেন। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য—প্রচলিত, পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয়তার ব্যবহার বাড়িয়ে কর্মক্ষমতা ও খরচ কমানো।
আইবিএমের CEO অরবিন্দ কৃষ্না জানিয়েছেন, এই কর্মীছাঁটাই ও AI-র ব্যবহার সত্ত্বেও কোম্পানির মোট কর্মীসংখ্যায় আসলে হ্রাস হয়নি। বরং, স্বয়ংক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় সহ অন্যান্য বিভাগের জন্য যেখানে “কন্ট্রোল, কল্পনা, মানুষের মুখোমুখি কাজ” বেশি গুরুত্ব পায়।
এই রূপান্তরের এক অংশ হিসেবে IBM HR বিভাগে AskHR নামের একটি AI এজেন্ট চালু করেছে, যা সাধারণ কাজ যেমন ছুটির অনুরোধ, বেতন বিবৃতি প্রস্তুত ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যান্ডেল করে থাকে। তবে, কোম্পানি স্বীকার করেছে যে সব ধরনের কাজ AI দিয়ে করা সম্ভব নয়—বিশেষ করে যেখানে সহানুভূতি, মানসিক বোঝাপড়া কিংবা ন্যায়বোধের মতো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু IBM-এ নয়; টেক ইন্ডাস্ট্রিতে একটা বড় ধরণের ধারাবাহিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। পুনরাবৃত্তিমূলক, ব্যাক-অফিস কাজগুলো ধীরে ধীরে স্বয়ংক্রিয়া ও AI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। তবে, মানুষের সৃজনশীলতা, চিন্তাশক্তি ও সামাজিক দক্ষতা এখনও অপরিহার্য।
আর্থিক ও সময়সাপেক্ষ কাজগুলো AI-র দ্বারা স্বয়ংক্রিয় করা কোম্পানিগুলোর জন্য লাভজনক হতে পারে, কারণ খরচ কমে যায় এবং কাজের গতি বাড়ে।
কিন্তু মানবিক দক্ষতা ও যেসব কাজ সিদ্ধান্ত, যোগাযোগ, সহানুভূতির প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রে মানুষের উপস্থিতি অপরিহার্য।
কর্মীদের রিস্কিলিং ও আপস্কিলিং গুরুত্বপূর্ণ—যাঁরা স্বয়ংক্রিয়া দ্বারা বদল করা হবে তাদের নতুন দক্ষতায় পরিবর্তন করা উচিত। সংগঠনগুলোর উচিত এই পরিবর্তনগুলো ক্ষমতাশালী ও ন্যায়সঙ্গতভাবে করা—যাতে কর্মীরা নিরাপদ বোধ করেন এবং কাজের পরিবেশ উন্নত হয়।
