আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ঘোষণা করা হল, চলতি বছরের সাহিত্যে নোবেল প্রাপকের নাম। জয়ী হাঙ্গেরিয়ান সাহিত্যিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। মূলত নোবেল দেওয়ার বিষয়ে সাহিত্যের মানই মূল ভিত্তি হলেও, এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয় ভাষা এবং ভুগোলকে।
তথ্য, জার্মানির পটভূমিকায় লেখা 'হার্শট ০৭৭৬৯' বইয়ের জন্য এই পুরস্কার, সম্মান লাজ়লোকে। সালটা ১৯৫৪। হাঙ্গেরির রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত ছোট্ট শহর গিউলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর রচনা ফ্রাঞ্জ কাফকা এবং টমাস বার্নহার্ডের রচনার সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে।
লাসলোর সঙ্গেই ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল প্রাপকের তালিকায় ছিলেন কলকাতার অমিতাভ। অমিতাভ ঘোষ। ১৯৮৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস, 'দ্য সার্কেল অফ রিজন' প্রকাশিত হয়। অমিতাভ এক সময়ে পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। পরপর লিখেছেন, দ্য শ্যাডো লাইনস (১৯৮৮), দ্য ক্যালকাটা ক্রোমোসোম (১৯৯৬), দ্য গ্লাস প্যালেস (২০০০), দ্য হাংরি টাইড (২০০৪) এবং গান আইল্যান্ড (২০১৯)।
তালিকায় অমিতাভর নাম থাকায় আশা ছিল। অমিতাভ ঘোষ নোবেল জয়ী হলে, রবীন্দ্রনাথের পর, ১১২ বছর পর, তিনি হতেন দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি সাহিত্যে নোবেল পেতেন।
আরও পড়ুন: বেলা বাড়তেই আকাশ কালো, কিছুক্ষণেই তুমুল ঝড়-জল শুরু হবে এই তিন জেলায়, এখনই
এবছরের জুরিতে সুইডিশ একাডেমির ৬ জন সদস্য রয়েছেন, যাঁরা ৩ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান জুরি দলের মধ্যে রয়েছেন-
 
 অ্যান্ডার্স ওলসন, ৭৬ বছর বয়সী সাহিত্য সমালোচক, তিনি এই কমিটির সভাপতি। এছাড়াও রয়েছেন-
 
 এলেন ম্যাটসন
 
 অ্যান সোয়ার্ড
 
 স্টিভ সেম-স্যান্ডবার্গ
 
 আনা-কারিন পাম
 
 ম্যাটস মাল্ম
সাহিত্যে নোবেল প্রসঙ্গেই উল্লেখ্য, বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ‘ধাতব জৈব কাঠামো’ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম ইয়াঘিকে ২০২৫ সালের রসায়নে নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিজয়ীরা একটি বিশেষ আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন যার মধ্য দিয়ে গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ প্রবাহিত হতে পারে। ধাতব জৈব কাঠামো নামে পরিচিত এই কাঠামোগুলির বিভিন্ন ব্যবহার থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে মরুভূমির বাতাস থেকে জল সংগ্রহ করা, কার্বন ডাই অক্সাইড ধারণ করা, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণ করা বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করা।
রসায়নের নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান হেইনার লিংকে বলেছেন, “ধাতব জৈব কাঠামোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, যা নতুন কার্যকারিতা সহ বিশেষ ভাবে তৈরি উপকরণের জন্য অপ্রত্যাশিত সুযোগ নিয়ে আসে।”
