আজকাল ওয়েবডেস্ক: এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতির পরিস্থিতি ভাল নয়। পহেলগাঁও নিয়ে ভারতের সঙ্গে উল্টো পথে হাঁটছে পাকিস্তান। এবার পাকিস্তানের অর্থনীতি যে বিরাট ক্ষতির সামনে পড়বে সেকথা বলাই বাহুল্য।


২০২২ সালে আইএমএফ থেকে লোন করেছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে তারা ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। চলতি বছরে আইএমএফ পাকিস্তানের দারিদ্রতার কথা মাথায় রেখে ২ বিলিয়ন লোন দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে এরফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়াত।


তবে পাকিস্তান পহেলগাঁও নিয়ে যেভাবে ভারতের বিরোধিতার পথে গিয়েছে তাতে এবার তাদের অর্থনীতি প্রবল সঙ্কটের সামনে। ইতিমধ্যেই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করেছে, পাকিস্তান থেকে আসা সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে, জলচুক্তি নিয়েও কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে ভারত। এরফলে পাকিস্তানের অর্থনীতি এবার তলানির পথে।


বহু বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। এবার সেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। ভারতের কড়া পদক্ষেপের প্রভাব ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। সেখানে চাল, গম, সব্জি, ফল, মাংসের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে পাকিস্তানের চালের দাম এখন ৩৪০ টাকা কেজিতে গিয়েছে। অন্যদিকে মুরগির মাংসের দাম ৮০০ টাকা হয়েছে। 


পাকিস্তান গভীরভাবে আইএমএফের লোনের ওপর নির্ভরশীল। তবে এবার সেখানেও তারা নিরাশ হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের একটি রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের ১০ মিলিয়ন মানুষ প্রবল খাদ্য সঙ্কটে পড়তে পারেন। পাকিস্তানের গ্রামগুলিতে কৃষিতে বিরাট প্রভাব পড়ছে ফলে সেখানকার অর্থনীতি এখন টালমাটাল।


ভারত থেকে পাকিস্তানে জরুরি ওষুধ, কেমিক্যাল, ফল, সব্জি, পোলট্রি, শুকনো ফল রপ্তানি করা হত। তবে এবার সেগুলি বন্ধ। তাই সাধারণ পাকিস্তানবাসীর মাথায় হাত পড়েছে।


পহেলগাঁওতে যেভাবে জঙ্গিরা হামলা করেছে তার নিন্দা করেছে গোটা বিশ্ব। ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে প্রতিটি দেশ। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর যে পাকিস্তান সেটা সকলেই এখন আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। ভারতে এখন সরাসরি সংঘর্ষের পথে না গিয়ে কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে কাবু করেছে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে পাকিস্তানের।